দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইল বাহিনী গাজার সর্বত্র বিমান হামলা,স্থল অভিযান পরিচালনা এবং গণহত্যা চালিয়ে ও হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল ও নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে অবশেষে যুদ্ধের প্রধানতম অস্ত্র খাদ্যকে বেছে নিয়েছে আর গাজার সকল প্রবেশ পথগুলো দখলদার ইসরাইলি বাহিনী বন্ধ করে দিয়েছে যেন কোন যানবাহন খাদ্য নিয়ে গাজায় প্রবেশ করতে না পারে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিমন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে গত কয়েক দিন যাবৎ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজা উপত্যকায় প্রবেশ পথ গুলো বন্ধকরে দেওয়ার ফলে গাজায় বাইরে থেকে কোন যান বাহন প্রবেশ করতে পারছে না এবং কোন ধরনের খাদ্য ও ত্রান সামগ্রী গাজা ভূ-খন্ডে প্রবেশ করতে পারছে না। গাজার খাদ্য পরিস্থিতি এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে যে, উপত্যকাটির ঘরে ঘরে খাদ্যাভাব, ফিলিস্তিনিরা খাদ্য না পেয়ে ঘাস এবং লতা পাতা খাচ্ছে এখানেই শেষ নয় উপত্যকাটির জনসমষ্টি পশুখাদ্য, পাখি খাদ্য খাচ্ছে এমনকি অপরিপক্ক পশু জবাই দিয়ে তার মাংস খাচ্ছে। দৃশ্যতঃ সর্বত্র খাদ্য অভাব। জাতিসংঘ অবশেষে গাজাতে দুর্ভিক্ষ পিড়িত এলাকা হিসেবে ঘোষনা করেছে। জাতিসংঘের ঘোষনায় বলা হয়েছে উত্তর গাজায় কোন ধরনের খাদ্য নেই। সেখানকার অধিবাসিরা বেঁচে থাকবার জন্যজীবন ধারনের জন্য নুন্যতম খাদ্য হতে বঞ্চিত হচ্ছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজাকে খাদ্যহীন নাগরিতে পরিনত করেছে। দুই একটি ত্রানবাহী যানবাহন দেখলে অভূক্ত ফিলিীস্তনিরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে এবং ত্রানবাহীগাড়ী আটকিয়ে কোন কোন সময় লুটপাট করছে। আল জাজিরা টিলিভিশন জানিয়েছে অভূক্ত ফিলিস্তিনিরা ক্ষুধার যন্ত্রনায় নিয়ম শৃঙ্খলা মানতে চাইছেনা। এদিকে দখলদার ইসরাইল বাহিনীর সাথে হামাসের যুদ্ধ বিরতি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষহতে হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে ইরসাইল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে রাফা হামলা করার আহবান জানানোর পাশাপাশি আরও বলেছে ইসরাইল রাফায় হামলা বন্ধ করে তাহলে হামাসসেনারা গাজার কোন এলাকাতে অবস্থান সমূহ তাজানিয়ে দিবে। উল্লেখ্য হামাসের পক্ষ হতে বলা হয়েছে ইসরাইল হামাসের সক্ষমতা,শক্তি ও সামর্থ ধ্বংস করতে পারেনি। হামাস যোদ্দারা গাজার সুরক্ষতি সুড়ঙ্গে অবস্থানকরে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সাথে মরনপনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। হামাসের প্রতিরোধ হামলা এতটুকু শক্তিশালী ও ক্ষিপ্রতর যে দখলদার বাহনিী হামাসের হামলায় বারবার বিপর্যস্থ হচ্ছে। গত শুক্রবার রাফায় দখলদার বাহিনীর চার সেনাকে হত্যা করেছে হামাসযোদ্ধারা এবং গত দুই দিনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইসরাইলি সেনাকে হতাহত করতে সক্ষমহয়েছে হামাস যোদ্ধারা। এবারও দখলদার বাহিনীর হত্যাকান্ডের নিশানায় ফিলিীস্তনি নারী ও শিশুরা। গাজা উপত্যকায় চিকিৎসা ব্যবস্থা বলতেকোন কিছু উপস্থিত নেই। একদিকে ক্ষুধার যন্ত্রনায় অভূক্ত ফিলিস্তিনিরা মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে অন্যদিকে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। আধুনিক সভ্যতার ইতিহাসের এক অন্ধারাচ্ছন্ন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে গাজা। এদিকেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী ছাত্র বিক্ষোভ চলছে। সরকার বিক্ষোভ রত ছাত্রদের গ্রেফতার সহ নানান ধরনের নির্যাতন পরিচালনা করছে এরই মধ্যে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প ইসরাইলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তার সমর্থকদের উদ্দেশ্য বলেছে ডেমোক্রাটরা ইহুদিদের প্রতিপক্ষ তারা ইহুদীদের ঘৃণা করে। বর্তমান ক্ষমতাহীন ডেমোক্রট দল ইসরাইলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। উল্লেখ্য সম্প্রতি জো বাইডেন প্রশাসন ইসরাইলকে সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত একটি বড় অস্ত্রের ও বোমার চালান আটকে দেওয়ায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষেপেছে। এদিকে আবারও গাজায় গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। রয়টার্স জানায় গতকালও গণকবর হতে নিহত ফিলিস্তিনিদের মরদেহ উদ্ধার করতে দেখা গেছে। আল জাজিরা জানায় গাজায় এ পর্যন্ত সাতটি গণকবর হতে পাঁচ শতাধীক ফিলিস্তিনির মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তর গাজার সড়কে সড়কে দুর্গন্ধফিলিস্তিনিদের লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেখা যাচ্ছে। এদিকে জজিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের সমাবর্তন কর্মসূচি বর্জন করেছে আর তার কারন হলো ইসরাইলি প্রীতিনীতির ক্ষোভের কারনে। গতকাল একমাস হামাস, হিজবুল্লাহ ও হুতি যোদ্ধারা ফিলিস্তিনি ভূ-খন্ডে মুহুর মুহুর হামলা চালালে দেশটির শহরগুলোতে সাইরেন বাঁজতে দেখা যায়।