শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৮ অপরাহ্ন

গাজায় যুদ্ধ বিরতির আহবান ইউরোপীয় ইউনিয়নের হামাসের সুড়ঙ্গে বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগের ভাবনা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩

দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ গাজা উপত্যকা জ্বলছে তো জ্বলছেই। আর এই জলন্ত দাজায় প্রতিদিনই লাশের মিছিল দীর্ঘ হতে দীর্ঘতর হচ্ছে। দখলদার ইসরাইলী বাহিনী বিমান হামলার পাশাপাশি কিছু কিছু এলাকাতে স্থল অভিযান পরিচালনা করছে। গাজার সামগ্রীক পরিস্থিতি আমানবিক, অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা বর্তমান সময়গুলোতে গাজায় চলছে চরম মানবিক বিপর্যয়। ইসরাইলী বাহিনী হামাসের প্রতিরোধের মুখে পড়লেও অত্যাধুনিক বিমান আর মারানস্ত্র ইহুদীবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলকে গাজার নিরীহ, নিরস্ত্র ফিলিস্তীনিদেরকে হত্যাকান্ড ত্বরান্বিত করে চলেছে। প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকাতে হামলা পরিচালনা করছে দখলদাররা। গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে। ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা প্রতিনিয়ত ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলা পরিচালনা করে চলেছে। খবরে প্রকাশ হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের হামলা হতে রক্ষা পেতে ইসরাইল লেবানন সীমান্ত, এলাকা সংলগ্ন গ্রামগুলো হতে তাদের জনসাধারনকে সরিয়ে নিয়েছে। ইসরাইলী বাহিনী ও সরকার বরাবরই হিজবুল্লাহকে ভয় পায়। কারন অতীত ইতিহাস ইসরাঈলীদের জন্য সুখকর নয়, এক সময় ইহুদী বাহিনী লেবাননের হামলা পরিচালনা করলে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের কঠোর ও কঠিন প্রতিরোধে ইহুদীরা পরাজিত ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় ইসরাইল। গত দুই সপ্তাহের অধিক সময় যাবৎ ইসরাইলে মুহুর মুহুর হামলায় এ যাবৎ পর্যন্ত অন্ততঃ সাত হাজার নিরীহ ফিলিস্তীনিকে হত্যা করেছে। গাজার হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম ঘটেছে। কোন কোন হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও উপাদানের অতি অভাব। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত জ্বালানী সরবরাহ না থাকায় এ অবস্থা। দখলদার ইসরাইলী বাহিনী গাজার বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবস্থায় আঘাত হেনেছে যে কারনে গাজা কেবল বোমার আঘাতে জলছে তা নয় পুরো গাজা অন্ধকার ময় এক উপত্যকায় পরিনত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভূক্ত দেশগুলো ইতিমধ্যে ইসরাইলের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে অবস্থান পরিস্কার করেছে। গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের কারন হেতু পর্যাপ্ত ত্রান সরবরাহের বিকল্প নেই। পরিস্থিতি বাস্তবতা এবং ভয়াবহতার বিষয়টি। বিবেচনা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলো এবার গাজায় যুদ্ধ বিরতির আহবান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এমন আহবান নিশ্চয়ই মানবতা আর মানিবক মূল্যবোধের সহায়ক। ইরানের পক্ষ হতে আবারও ইসরাইলকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা বলেছেন ইসরাইল যদি হামলা অব্যাহত রাখে তাহলে তার জন্য ইসমাইলকে তার খেসারত দিতে হবে। গাজার হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছে যে ইসরাইল গাজার নিরীহ ফিলিস্তীনিদের উপর মারনাস্ত্র হামলা পরিচালনা করছে। ইসরাইলের অভ্যন্তরে সেদেশের নাগিরকদের মধ্যে একাধিক ক্ষোভ অন্যদিকে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ক্ষোভ বিরাজ করার কারন হেতু বহুবার সরকার তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে চরম ভাবে ব্যর্থ হয়েছে অনদিকে হামাস যোদ্ধারা যে কোন সময়ে হামলা পরিচালনা করতে পারে এমন আশঙ্কা ইহুদী বসতিতে বিরাজ করছে। হামাসের হাতে আটক ইসরাইলের দুইশতাধীক নাগরিক কে মুক্তির বিষয়ে ইসরাইল সরকারের আহবান প্রত্যাখ্যান করেছে। গাজার অভ্যন্তরে সুরক্ষিত সুরঙ্গগুলোতে এবার বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগের চিন্তা ভাবনা করছে দখলদার বাহিনী। গাজা উপত্যকার মাটির নিচে মাকড়োসার জালের ন্যায় শত শত কিলোমিটার সুড়ঙ্গের অবস্থান। উক্ত সুড়ঙ্গগুলোতে হামাস যোদ্ধারা কেবল অবস্থান করে তা নয় সেখানেতারা অস্ত্র তৈরীর কারখানায় অস্ত্র তৈরী করে একই সাথে এক এলাকা হতে অন্য এলাকায় অতি সহজেই এবং দ্রুততার সাথে যাতায়াত ও যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে। ইসরাইলী বাহিনী হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করতে বদ্ধ পরিকর আর এজন্যই তারা গাজায় যুদ্ধ বিরতি করছে না। যুদ্ধ বিরতি হলে হামাস যোদ্ধারা সুযোগ পাবে। ফিলিস্তীনিদের আবাসিক ভবন গুলোতে ইসরাইলী বাহিনী নির্বিচারে বোমা হামলা করে নিরীহ ফিলিস্তীনিদের হত্যা করলেও বিশ্ব মাতবররা নিরব থাকলেও ইরান, চীন এবং রাশিয়া ফিলিস্তীনিদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ইসরাইলের হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে। দখলদার বাহিনীর অমানবিক নির্দয় হামলা অব্যাহত থাকলে ইসরাইল ও হামাস যুদ্ধ অধিকতর এলাকা ব্যাপী বিস্তৃত ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না আর এমন টির সতর্ক ও সাবধানতা করে চলেছে ইরান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com