শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন

গাজায় লাশের স্তুপঃ হামলা পাল্টা হামলা চলছেই মিশর ত্রান সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩

দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ গাজায় লাশের স্তুপ সময়ে সময়ে বেড়েই চলেছে। ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের গাজায় লাশের স্তুপের পাশাপাশি লাশের গন্ধ, চরম নৃশংসতায় বিপন্ন গাজা বাসি। এগার লক্ষ ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলা চলছে তো চলছেই। গত শনিবার ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগ্রাম হামাস ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলা পরিচালনা করে অন্তত সহস্রাধীক ইহুদীদের কে হত্যা করে এবং অগনিত সামরিক ও আধা সামরিক নাগরিকদের যুদ্ধবন্দী হিসেবে গ্রেফতার করে। ঘটনার পরের দিন ইসরাইলের বিমান বাহিনীর অত্যাধুনিক বিমানগুলো গাজা উপত্যকায় হামলা পরিচালনা শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত তা অব্যাহত আছে। সর্বশেস খবরে জানাগেছে ইসরাইলের পক্ষ হতে বলা হয়েছে গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তীনিদেরকে ঘরবাড়ী ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। ইসরাইলের ঘোষণাকে প্রত্যাখান করেছে হামাস। সংগঠনটির রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ব্যুরোর প্রধান বাসেম নাইম বলেছেন ফিলিস্তীনিরা কোন অবস্থাতেই তাদের প্রিয় মাতৃভূুিম ছেড়ে যাবে না। বাসেম নাইম আরও বলেন শনিবার হামাস ইসরাইলের অভ্যন্তরে যে হামলা পরিচালনা করেছে। সেটি সতের বছর ধরে সয্য করা গাজার শ্বাস রুদ্ধকর অবরোধের ফল। তিনি আরও বলেন, আমরা নিরবে মৃত্যু বরন করছিলাম, আমরা অবরুদ্ধ উন্মুক্ত কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার চেস্টা করছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্তর আমাদের আওয়াজ তোলার চেষ্টা করছি। আমরা হামলা চালিয়েছি যা ছিল প্রতিরক্ষামূলক কাজ, আমরা আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা করছি। বাসেম নাইম আরও বলেন, আমরা আমাদের নিজ ভূমিতে পরাধনি এবং অবরুদ্ধ, আমাদের এই দখল দালিত্ব হতে মুক্তি দিতে হবে। ইসরাইলের দখলদারিত্ব হলো এই অঞ্চলের সব ধরনের অনিষ্টের মুল। এদিকে যে কোন সময়ে ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী গাজায় স্থল অভিযান পরিচালনা করতে পারে আর এ নিয়ে হামাস এবং ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে গাজায় ইসরাইল স্থল অভিযান পরিচালনা করলে তারা ও ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে এমন আশঙ্কা করছে খোদ পশ্চিমা বিশ্ব। ইসরাইলের পক্ষ হতে তাদের সামরিক ও বেসামরিক যে সকল ইসরাইলী হামাসের হাতে বন্দী আছে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি না দিলে গাজায় অধিকতর হামলা পরিচালনা করা হবে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও সামরিক বিশেষজ্ঞদের ধারনা ইসরাইলের আক্রমন অব্যাহত থাকলে এবং তাদের সামরিক সক্ষমতা প্রয়োগ করলে গাজায় নিশ্চিত নিশ্চিহৃ হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে হামাসের প্রতিরক্ষা হামলা ও তাদের হাতে থাকা সামরিক সরঞ্জামের পরিপূর্ণ ব্যবহার ঘটলে দুই পক্ষের জন্য শক্তির ভারসাম্য হয়তোবা প্রদর্শিত হবে এবং দীর্ঘদিন যাবৎ হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ চলমান থাকবে। এদিকে হামাসের পাশাপাশি লেবানন ভিত্তিক হিযবুল্লাহ ইসরাইলে রকেট হামলা পরিচালনা করছে। গতকাল ও হামাস ইসরাইলের অভ্যন্তরে রকেট হামলা পরিচালনা করেছে। ইসরাইলের অতীতের ইচ্ছামত হামলা এবারের হামলায় একত্রীভূত হবে বলেমনে হওয়ার কারন নেই কারন বৃহৎশক্তি রাশিয়া স্পষ্ট ভাবেই বলেছে গাজা উপত্যকা ফিলিস্তীনিদের ফিলিস্তীনিদের ঐতিহাসিক ভূমি। ইসরাইলকে কেবলমাত্র হামাস এর সাথে যুদ্ধ করতে হচ্ছে বা আগামীতে শুধুমাত্র হামাসের সাথে যুদ্ধ করতে হবে তা নয় হিযবুল্লাহ, ইরান, সিরিয়া ইসরাইলে হামলা পরিচালনা করতে পারে এমন ভাবনা ইসরাইলের থাকতে হবে। গাজায় বর্তমান সময়ে ইসরাইলের হামলায় নিহত হওয়ার পাশাপাশি খাদ্য পানি বিদ্যু ব্যবস্থা বিপর্যস্থ। মিশর গাজায় ত্রান সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ুিফলিস্তীনিদের মানবিক বিপর্যয়ের কবল হতে কিছুটা হলেও রক্ষা করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com