রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

গাজা থেকে চার জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলে ফেরত

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

এফএনএস আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে হামাসের হাতে জিম্মি থাকা চার ব্যক্তির মরদেহ ইসরায়েলে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি কতৃর্পক্ষ এই মরদেহগুলো গ্রহণ করে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন শিরি বিবাস ও তাঁর দুই শিশু সন্তান কেফির বিবাস এবং অ্যারিয়েল বিবাস। চতুর্থ ব্যক্তি ওদেদ লিফশিৎজ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের কিবুতজ নির ওজ এলাকা থেকে হামাসের হামলার সময় বিবাস পরিবারকে অপহরণ করা হয়েছিল। সেই সময় কেফিরের বয়স ছিল মাত্র ৯ মাস। দীর্ঘদিন ধরে তাদের ভাগ্য অনিশ্চিত থাকলেও এবার হামাসের পক্ষ থেকে মরদেহ ফেরত দেওয়ার মাধ্যমে নিশ্চিত হলো তাদের করুণ পরিণতি।
হামাসের দাবি, ইসরায়েলের বিমান হামলায় এই চারজন নিহত হয়েছেন। তবে ইসরায়েলি কতৃর্পক্ষ এতদিন আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। নিহতদের মরদেহ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
গাজা যুদ্ধবিরতির আওতায় কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যে চুক্তি হয়, তার অংশ হিসেবে এই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে হামাস বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল এবং বিপরীতে ইসরায়েল কারাবন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ও শোকাবহ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আজ ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য এক শোকের দিন।’
এদিকে, ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জিম্মি হওয়া আরও বেশ কয়েকজনের ভাগ্য অনিশ্চিত রয়ে গেছে। ইসরায়েলি কতৃর্পক্ষ হামাসের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে বাকি জিম্মিদেরও মুক্ত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাজার মানবিক সংকট আরও প্রকট হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয় পক্ষকে সংঘাত নিরসনের আহ্বান জানিয়ে আসছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসরায়েল—ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের সমাধান আদৌ সম্ভব কি না, সে বিষয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com