দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ চলছে তো চলছেই। প্রতিদিনই দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজা ভূ-খন্ডে বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল হামলা পরিচালনা করে চলেছে। ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিনই নিরীহ এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা মৃত্যবরন করছে কিন্তু হামাস ছেড়ে দিতে নারাজ হামাস যোদ্ধারা দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যদেরকে অত্যাধুনিক রনকৌশলকে সঙ্গী করে প্রতিরোধ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। দৃশ্যতঃ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর সদস্যরা হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা এমন ভাবে প্রতিরোধ হামলার শিকার হচ্ছে যে তারা গাজা যুদ্ধে যে চরম ভাবে বিপর্যস্থ তা স্পষ্ট হচ্ছে। কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে গত আটমাসে গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা তাদের অত্যাধুনিক ট্রাঙ্ক, সমরযান আর প্রযুক্তি নির্ভর যুদ্ধ যন্ত্রপাতি সঙ্গী করে ও হামাস যোদ্ধাদেরকে নির্মূল বা ধ্বংস করতে পারেনি। যে কারনে যতই দিন বা সময় অতিবাহিত হচ্ছে ততোই গাজা যুদ্ধে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর জয় ফিকে হতে চলেছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর পক্ষ হতে ইতিমধ্যে ঘোষনা দেওয়া হয়েছে যে, তাদের হামলায় হামাসের অন্তত চৌদ্দ হাজার সদস্য নিহত হয়েছে এবং তাদের উল্লেখ যোগ্য সংখ্যক ব্যাটালিয়নকে ধ্বংস করা হয়েছ বিধায় গাজায় যুদ্ধ করার মত শক্তি সামর্থ ও সক্ষমতা সক্রীয় এবং দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমানতালে যুদ্ধ করে চলেছে। হামাস যোদ্ধাদের যুদ্ধ এবং প্রতিরোধ হামলা এতটুকু বেগবান যে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা পরিপূর্ণ বিপর্যস্থ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হতে অবশ্য বলা হয়েছে গাজা মাটিতে বর্তমান সময়ে অন্তত ১২ হাজার হামাস সদস্য যুদ্ধরত। উল্লেখ্য দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা সপ্তাহের অধিক সময় যাবৎ রাফা শহরে হামাস নির্মূলের নামে সাধারন ও বেসামরিক ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করছে পক্ষান্তরে হামাস যোদ্ধারা রাফা শহর সশস্ত্র যুদ্ধ ও প্রতিরোধ হামলার মাধ্যমে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীকে মোকাবিলা করে চলেছে। হাজার হাজার হামাস সদস্যরা গাজার বিভিন্ন এলাকাতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীকে মোকাবিলাকরে চলেছে। হাজার হাজার হামাস সদস্যরা গাজার বিভিন্ন এলাকাতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীলবিরুদ্ধে লড়াইকরেচলেছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী এবারগাজা সিটির মেয়র কেহত্যা করেছে। পশ্চিমা মিডিয়া ও রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে দখলদার ইসরাইলি সদস্যরা গাজা সিটির মেয়র ইয়াদ আল মাগরিকে গুলিকরে হত্যা করেছে। ফিলিস্তিনিদের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই নেতাকে হত্যার মাধ্যমে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী হত্যাকান্ড ঘটাতে পিছপা হলো না। এদিকে মার্কিন পত্র পত্রিকা গুলোতে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছে যে, ইসরাইল গাজা যুদ্ধ বিরতিতে আবারও আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে এবং ইসরাইলের পক্ষ হতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এ বিষয়ে মধ্যস্থতা কারী দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়েছে ইসরাইলের আহবানে সাড়া দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিসরকে হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধ বিরতি আলোচনায় মধ্যস্থতা করার অনুরোধ জানালে মিশরের পক্ষ হতে তা গ্রহন পরবর্তি হামাস ও ইসরাইলেরমধ্যে আলোচনার পথ তৈরীকরেছে। মিশরের সাথে কাতার ও মধ্যস্থতা কারী হিসেবে সম্পৃক্ত করেছে। হামাসের পক্ষ হতে আবারও বলা হয়েছে ইসরাইল পুরো গাজা উপত্রকায় হত্যা, হামলা, বসতবাড়ীর ধ্বংস, খাদ্য আর চিকিৎসাহীনতাকে শুন্যেল কোঠায় রেখে হামাস আলোচনা করবে, যুদ্ধ বিরতিতে কিভাবে বসতে পারে। হামাসইতিপূর্বে বলেছে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধ বিরতিএবং গাজাহতে দখলদার সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহারেরমাধ্যমেই কেবল মাত্র যুদ্ধবিরতিও বন্দী বিনিময় হতে পারে। বর্তমান সময়ে হামাসবলছে হামলা চলাকালীন সময়গুলোর আলোচনায় নয়,আগে হামলা বন্ধ করতে হবে তারপর আলোচনায় বসাযেতে পারে। এদিকে হিজবুল্লাহর হামলঅয় এক ইসরাইলি সেনার নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হিজবুল্লাহ প্রধানকে হত্যঅর হুমকি দেওয়ার তিন দিনের মাথায় হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরাইলি সেনার নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলেদখলদার ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলা পরিচালনা করায় জাতিসংঘের পক্ষ হতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। যতইদিন যাচ্ছে ততোই দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজা যুদ্ধে পিছিয়ে পড়ছে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলদের অভিমত গাজায় যুদ্ধ অপেক্ষা চিকিৎসাহীনতা ও খাদ্র ঘাটতিতেই বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হতে পারে।