দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ বৃষ্টি সবসময় কল্যাণকর আর রহমতের একই সাথে উন্নয়নের উৎপাদনের মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত। তবে কোন কোন সময় অতি বৃষ্টি, বিরামহীন বৃষ্টি বা আকাশ বন্যা উৎপাদনে, জনজীবনে অন্তরায় সৃষ্টি করে। বাস্তবতা হলো এবং শেষ কথা বৃষ্টি সর্বদাই কল্যাণকর। গতকাল সাতক্ষীরার আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা আর মেঘ থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ছিল অসময়ের কিন্তু অতি অপরিহার্য। শীত মৌসুমে সাধারণত বৃষ্টিপাতের দেখা মেলে না। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিপাত শীতের সবজি সহ উঠতি ফসলাদির জন্য অতি জরুরী। মাঠে মাঠে বর্তমানে সরিষা গাছের সমারোহ আর কয়েকদিন পরেই দিগন্তবিস্তৃত সরিষা শস্য ক্ষেতের হলুদারাশির বিস্তৃত লীলাভূমি দৃশ্যমান হবে। আর সরিষার গাছের সতেজতা ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য চাই পানি। গতকালের সামান্য বৃষ্টির পানি সরিষা ক্ষেতের সরিষা গাছকে সতেজ করে তুলেছে। জমিতে স্থানীয় ভাষায় (জো) সৃষ্টি হয়েছে। সরিষার পাশাপাশি মসলা, খেসারী, মুশুরী চাষে প্রাণ ফিরেছে গতকালের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে। সাতক্ষীরা বরাবরই শস্য ভান্ডার জেলা হিসেবে পরিচিত সাতক্ষীরার বিস্তৃর্ণ এলাকাতে সবজির সমারোহ। এবারে সবজি চাষে অবশ্য কৃষকদেরকে অনেকটা ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়েছে। সবজি চাষের মৌসুমে অতিবৃষ্টিপাতের কল্যাণে বীজতলা ও সবজি বাগানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় কয়েক দফায় সবজি চাষ করতে হয়েছে। তারপরও সাতক্ষীরার চাষীদের মুখে চোখে খুশির ঝিলিক গতকালের বৃষ্টিপাতে সবজি ক্ষেতগুলোতেও প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে। সবজির উৎপাদনে বিশেষ করে দীর্ঘদিনের পানির অভাবও শুন্যতা পুরনে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে সামান্য বৃষ্টিপাতের কল্যাণে কৃষি উৎপাদনে, রবিশস্যে ও সবজিতে যে প্রাণ ফিরেছে তা আরও আগ্রাসী হোক এমন প্রত্যাশা কৃষকের।