আব্দুল মাজিদ কৃষ্ণনগর থেকে \ কালিগঞ্জ ,শ্যামনগর এবং আশাশুনি উপজেলার সংযোগ স্থলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী শুধুমাত্র গোয়াল ঘেশিয়া নদী। এ নদীর এক দিকে আশাশুনি অপর দিকে কালিগঞ্জ এবং শ্যামনগর উপজেলা। এ নদী পার হইতে প্রতিদিন প্রায় ২০ গ্রামের মানুষের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে । নদীতে কোন ব্রিজ না থাকায় কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পূর্ব কালিকাপুর হাট খোলা সংলগ্ন গোয়াল ঘেশিয়া নদীতে একটি মাত্র খেয়া নৌকা থাকায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে এ পারের লোক অপার পারে যাইতে হয় । দীর্ঘদিন কর্তৃপক্ষ কাছে ব্রিজের জন্য দাবী জানাইয়াও কোন সুফল পাননি তিন উপজেলার ভোগান্তির শিকার মানুষেরা । সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায় কালিকাপুর খেয়াঘাট দিয়ে খুব কষ্ট করে পার হচ্ছে তিন উপজেলার ২০টি গ্রামের মানুষ । কাল বৈশাখী ঝড়ের সময়ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ পার থেকে ওপা্রে পার হতে হয় তিন উপজেলার কয়েক হাজার মানুষকে ।আশা শুনি উপজেলার প্রায় দশটি গ্রামের মানুষকে প্রতিদিন কৃষি পণ্য, বিপণন , চিকিৎসা ও শিক্ষার্থীদের স্কুল, কলেজ মাদ্রাসায় যেতে হয় । এছাড়া নদীর অপার দিকের অর্থাৎ কালিগঞ্জ, শ্যামনগর উপজেলার অনেক গ্রামের মানুষকে ও বিভিন্ন কাজে যাতায়াত করতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদীটির অপার দিকের গ্রাম গুলোতে । শত বছরের খেয়া ঘাট দিয়ে মানুষ চলাচল করলেও আজও সু নজরে আসেনি কর্তৃপক্ষের ।যে কারণে কয়েক হাজার লোকের পারা পারের জন্য ব্রিজ হওয়ার স্বপ্নই শুধু স্বপ্নই রয়ে গেল বাস্তবে রূপ নিলোনা । কলিমাখালি আজিজিয়া সিনিয়ার মাদ্রাসার ছাত্র আব্দুর রহিম ,আব্দুল করিম, জামাল ফারুক ,আমেনা খাতুন, রহিমা পারভীন প্রমুখ জানান, বর্ষা এবং ঝড়ের সময় আমাদের কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়াঘাট পার্ হতে হয়। এছাড়া আমাদের এলাকার শতাধিক ছাত্রছাত্রী প্রতিনিয়তই কলিমাখালী মাদ্রাসা ,জয়নগর আমিনিয়া হামিদিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা, ঘোলা আব্দুল হামিদ মডেল দাখিল মাদ্রাসা সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে এই খেয়া পার হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হয়। খেয়া পার হতে অনেক সময় দেরি হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে না পারায় শিক্ষকদের কথা শুনতে হয়। এছাড়া আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা ঐতিহ্যবাহী বালিয়াডাংগা বাজার থেকে মালামাল ক্রয় করে নিয়ে যাওয়ার সময় বিড়ম্বনার শিকার হয় । কলিমা খালি আজিজিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক প্রফেসর আব্দুল বারী মাওলানা মোঃ সিদ্দিক হাসান ,মাওলানা আফজাল হোসেন ,বালিয়াডাংগা মাহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সুপার আলহাজ মাওলানা সামসুর রহমান জানান ,শত বছরের পুরাতন এই খেয়া ঘাটটিতে আজও একটি ব্রিজ নির্মান হয়নি। ব্রিজটি নির্মান হলে তিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ এর সুফল ভোগ করতে পারবে । দ্রুত ব্রিজটি নির্মানের দাবী জানান তারা ব্রিজ নির্মান হলে শিক্ষার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বহু মানুষের দুর্ভোগ কমবে বলে জানান স্থানীয়রা ।