গরম আর গরম, ভ্যাপসা গরম, তপ্ত হাওয়া, সর্বত্র গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহ। গত কয়েকদিন যাবৎ দেশের উপর দিয়ে চলমান প্রখর রৌদ্র আর প্রচন্ড তাপ, নিকট অতীতে দেশবাসি এমন ভয়ানক গরম দেখতে পাইনি, এবং অনুভব করতে পারেনি। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, ছয় ঋতুর অন্যতম গ্রীষ্ম ঋতু। এই ঋতুর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো সুুর্যের প্রখর তাপ আর গ্রীষ্মের তাপদাহ তবে বর্তমান সময় গুলোতে যে ভাবে গরম পড়ছে তা কেবল চিন্তার বিপরীত নয়, অকল্পনীয় ঘটনাই বলা যায়। আমাদের দেশের ছয় ঋতু বর্তমান সময়ে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে গুটি কয়েক ঋতুতে পরিনত হয়েছে। আর এই হ্যাসপাওয়া ক্ষয় হওয়া ঋতুর মধ্যে অন্যতম গ্রীষ্ম ঋতু, বর্তমান সময়ে জ্যৈষ্ঠ মাস চলছে। বাঙ্গালী মাসের ধারাবাহিকতায় জ্যৈষ্ঠ মাসের তাপে আম কাঠাল পাকে কিন্তু বাস্তবতা হলো বর্তমানের তাপে জনজীবন অস্তির এবং অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছে। দিনের আলো উকি দিতে না দিতেই রৌদ্রের প্রখরতা চলমান থাকে, জনসাধারন রৌদ্র আর গরমের আতঙ্কে ঘরের বাইরে আসতে চাইছে না সর্বাপেক্ষা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করা মানুষগুলো। পুকুরে পানি নেই, শুকিয়ে গেছে পুকুরে পুকুরে চলছে পানি শুকিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি। আর এমন প্রস্তুতিতে থেমে নেই টিউওয়েলগুলো। এই মুহুর্তে প্রয়োজন বৃষ্টিপাত। কাঙ্খিত বৃষ্টিপাতই কেবল মাত্র পারে জনজীবনের অস্থিরতা কমিয়ে শান্তির সুনশান পরিবেশ নিশ্চিত করা, বৃষ্টিপাতের জন্য দেশবাসি মুখিয়ে আছে।