স্টাফ রিপোর্টার ঃ চিরায়ত বাংলা প্রবাদ বালুর বাঁধ সে তো ক্ষনস্থায়ী, শক্তিহীন, দুর্বল, নিথর আর বালুর পাহাড় সে তো অসম্ভব। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে সময়ের ব্যবধানে বালুর বাঁধ আর পাহাড় যন্ত্রনাদায়ক, জীবনহানীর কারন, দূর্ঘটনা সহায়ক সেই সাথে ক্ষমতাধর, দাপুটে এবং স্থায়িত্বের নিয়ামক হিসেবে ক্ষেত্র বিস্তৃত করে। এমনই এক যন্ত্রণা দায়ক, কষ্টদায়ক আর দূর্ঘটনা আশঙ্কার সঙ্গী হয়ে নিজের ক্ষমতাকে জানান দিচ্ছে সাতক্ষীরা শহরের তালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রবেশ পথ সহ বিদ্যালয় জানালা সংলগ্ন এলাকায় বালুর বাঁধের ও পাহাড়ের উপস্থিতি। সাতক্ষীরা খুলনা মহাসড়কের ব্যস্ততম সড়ক এলাকায় তালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বর্তমান সময় গুলোতে স্তুপ করা বালু উড়ছে তো উড়ছেই। নিয়ন্ত্রনহীন উড়ে চলা বালু বিদ্যালয়ের জানালা, দরজা দিয়ে অবলিলায় ঢুকছে, বারান্দাতো বালুময়, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রিতীমত বালুর সাথে যুদ্ধ করে, চোখে পানি ঝরিয়ে, তারপর চোখ ফুলিয়ে বিপর্যস্থ হচ্ছে, বাদ যাচ্ছে না শিক্ষকরাও কেবল চোখে মুখে নয় সর্বাঙ্গে বালু আর ঘামে একাকার। এক কথায় পড়ালেখার মনোনিবেশ বালু দানবের যন্ত্রনায় কুপোকাত হতে চলেছে। এখানেই শেষ নয় বিদ্যালয় আর সড়ক বালুতে আচ্ছাদিত থাকায় শিক্ষার্থীরা রীতিমত বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করছে, বালুর সাথে যুদ্ধ রত শিক্ষার্থীদের আশ্রয় হতে পারে সড়কে চলাচল করা যানবাহনের চাকায়, যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা সুলতানা সড়ক বিভাগের দ্বারাস্থ হয়েছেন, এলজিআরডি, পৌরসভা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন, তার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং পড়ালেখার পরিবেশ নিশ্চিত করনে বালুর বাঁধ সরাতে, কিন্তু সকলেই কুন্ত কন্তের মতোই অচেতন। পরিস্থিতি আর বাস্তবতা বলেই দিচ্ছে বালু মহাশক্তিধর, সে ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ অসহায় আমরা দায়িত্বহীন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রুহুল আমীন দৃষ্টিপাতকে জানান বিদ্যালয়ের সম্মুখ ভাগে বালু থাকায় পড়ালেখার পরিবেশ বিঘœ হচ্ছে, দূর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি জানান প্রধান শিক্ষক প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন এবং তিনি ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে প্রতিকার কামনা করে পত্র প্রেরণ করেছেন।