সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শুল্কমুক্ত সুবিধায় হাজার হাজার টন চাল আমদানিতেও বাজারে প্রভাব পড়েনি বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ শীতজনিত রোগীর চাপ রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি হাসপাতালে বাড়ছে সাতক্ষীরা পৌর—মেয়রের বরখাস্তের আদেশ অবৈধ: হাইকোর্ট স্কুল থেকে ফেরার পথে ট্রেনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নিহত মোবাইল—ইন্টারনেটে কর প্রত্যাহার না হলে এনবিআর ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি ভারত থেকে এলো ২৭ হাজার মেট্রিক টন চাল টিউলিপের উচিত ক্ষমা চাওয়া: ইউনূস বিজিবি—জনগণ ‘শক্ত অবস্থান’ নেওয়ায় ভারত পিছু হটেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঘুমিয়ে পড়েছিলেন চালক, দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ৬ জন

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৩

এফএনএস: শরীয়তপুরের জাজিরায় ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সের চালক-হেলপারসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজার কাছে দুর্ঘটনাকবলিত অ্যাম্বুলেন্সটি চালাচ্ছিলেন রবিউল ইসলাম (২৮)। তার বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ প্রাথমিকভাবে বলছে, তিনি টানা ২৬ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে গতকাল মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে চলন্ত ট্রাককে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শিবচর হাইওয়ে থানার পরিদর্শক আবু নাঈম মোহাম্মদ মোফাজ্জেল বলেন, পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার ৩০০ থেকে ৪০০ মিটার সামনে ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা জেনেছি অ্যাম্বুলেন্সের চালক রবিউল টানা ২৬ ঘণ্টা ডিউটিতে ছিলেন। এ কারণে তিনি ক্লান্ত ছিলেন। সম্ভবত গাড়ি চালাতে চালাতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এ কারণে চলন্ত ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় অ্যাম্বুলেন্সটি। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সটি ট্রাকের নিচে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালকসহ গাড়িতে থাকা ছয়জন প্রাণ হারান। পুলিশ জানায়, চালক রবিউল খুলনার দিঘলিয়ার চন্দনিমহল এলাকার কাওসার হাওলাদারের ছেলে। তিনি রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ঢাকা থেকে রোগী নিয়ে ভোলা যান। ভোলা থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বরিশাল শহরের বেলভিউ হাসপাতাল থেকে আরেক রোগী নিয়ে গত সোমবার রাতে ঢাকায় রওয়ানা হন। দীর্ঘ ২৬ ঘণ্টা গাড়ি চালানোর কারণে তার শরীর ক্লান্ত ছিল। গাড়ি চালানোর সময় তিনি হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়েন। ওই অবস্থায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান অ্যাম্বুলেন্সচালক রবিউল ইসলাম (২৮), হেলপার জিলানি (২৬), রোগী জাহানারা বেগম (৫৫), তার মেয়ে লুৎফুন নাহার লিমা (৩০), স্বাস্থ্যকর্মী ফজলে রাব্বি (২৮) এবং সাংবাদিক মাসুদ রানা (৩০)। নিহত মা ও মেয়ের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আনারসিয়া গ্রামে। জাহানারার স্বামী লতিফ মলি­ক যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। ফজলে রাব্বির বাড়ি বাউফল উপজেলার আনারসিয়া গ্রামেই। সাংবাদিক মাসুদ রানার বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাসাইল গ্রামে। আর রবিউলের সহকারী জিলানির বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর গ্রামে। অ্যাম্বুলেন্সচালক রবিউলের ভাই ইয়াছিন হাওলাদার বলেন, তারা দুই ভাই অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে সংসার চালান। রবিউল রোববার রাত দুইটার দিকে ঢাকা থেকে রোগী নিয়ে ভোলা যান। ভোলা থেকে ফেরার পথে তিনি বরিশাল শহর থেকে গত সোমবার রাতে আরেকজন রোগীকে নিয়ে ঢাকায় আসছিলেন। পথে পদ্মা সেতু এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে রবিউলের স্বজনেরা জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। হাসপাতাল চত্বরে আহাজারি করতে করতে রবিউলের শাশুড়ি রানি বেগম বলেন, আমার মেয়ে সন্তানসম্ভবা। পাঁচ বছর বয়সী একটা ছেলে আছে। আমি এখন ওদের দায়িত্ব কার কাছে দেব? হাইওয়ে পুলিশের ফরিদপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মারুফ হোসেন বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত ছয়জনের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সচালক রবিউলের লাশ তার স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের স্বজনেরা এলে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com