মাসুম প্রতাপনগর (আশাশুনি) থেকে \ বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সার্থক বার্তায় ঘুর্নিঝড় অসনির আগ্রাসন পূর্বাভাসে চরম আতঙ্কিত প্রতাপনগর ইউনিয়নবাসী তথা উপকূলীয় অত্রাঞ্চলের লাখো মানুষ। ইতোমধ্যে গতকাল সকাল নয়টা থেকে প্রতাপনগর অঞ্চলে ঝড়োহাওয়া ও নদীর পানি উত্তাল ঢেউয়ে বেড়িবাঁধে আঘাত করছিল। পরকে পরকে দমকা হাওয়ায় বৃষ্টি হচ্ছিল বেলাভর। বিকালে বৃষ্টি কমলেও আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। প্রতাপনগর ইউনিয়ন টি কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর বেষ্টনীতে ঘেরা। ঘুর্নিঝড় অসনির আগ্রাসন সময়ে এই নদীর জোয়ারের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলে আবারও প্লাবিত হতে পারে উপকূলীয় প্রতাপনগর ইউনিয়ন। অসনি ঝড়ের সময় নদীর পানি বৃদ্ধি হলে বিশেষ করে শ্রীপুর কুড়িকাহুনিয়া লঞ্চ ঘাট সংলগ্ন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ, প্রতাপনগর মাদার বাড়িয়া (ঝাপালিয়া) খেয়া ঘাট সংলগ্ন প্রায় ৭শত মিটার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ যেখানে ষাটের দশকের পর বেড়িবাঁধ সংস্কারে এক ঝুড়ি মাটিও দেওয়া হয়নি। এছাড়াও প্রতাপনগর রুইয়ারবিল ভাঙ্গন পয়েন্ট, কল্যাণপুর ত্রিমহোনা খেয়া ঘাট সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ যেখানে ঘুর্নিঝড় আম্ফান ও ইয়াসে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ভাঙ্গন বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হয়নি। এবং প্রতাপনগর সোনাতনকাটি গ্রামের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ (সংস্কার চলমান) উলেখিত স্থানগুলো মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ হিসাবে বিবেচিত হয়ে দৃশ্যমান থাকায় স্থানীয় ভুক্তভোগী উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষেরা চরম উদ্বিগ্ন উৎকণ্ঠা দিনাতিপাত করছে। ইতোপূর্বে বিগত বছরের ২০ সালের ২০ মে আম্ফান ও ২১ সালের ২৬ মে ইয়াস ঝড়ের ক্ষত চিহ্ন কেটে উঠা তো দুরের কথা; আজও বেড়িবাঁধে টোং বেঁধে কেউবা কোন কোন স্থানে মাচা বেঁধে মানবতার জীবন যাপন করছে কয়েকশ পরিবার। আজও বাব দাদার রেখে যাওয়া ভিটাবাড়িতে ফিরতে পারেনি তাঁরা। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ও ক্রমান্বয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আগ্রাসন মুকাবেলায় উপকূলীয় জনগুষ্টীর জীবন মান রক্ষায় প্রযুক্তি নির্ভর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ অতিবজরুরী। এহেনো পরিস্থিতিতে ঘুর্নিঝড় অসনির আগ্রাসন পূর্বাভাসে আতঙ্কিত এলাকাবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় সাইক্লোন শেল্টার সময়ের দাবি। এছাড়া উলেখিত মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারের দাবি ভুক্তভোগী উপকূলীয় অঞ্চলের সচেতন এলাকাবাসীর।