 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    এফএনএস বিদেশ : মরিশাসের সাদা বালুর সমুদ্রসৈকতের দিকে তাকালে একটি বিশাল পাল দেখা যাবে। এটি দেখতে অনেকটা প্যারাগ্লাইডার বা সার্ফারদের ঘুড়ির মতো। তবে আকারে বিশাল বাড়ির সমান। কোনো পর্যটক আকর্ষণের জন্য এটি তৈরি করা হয়নি। এটি আফ্রিকার পূর্ব উপক‚লে অবস্থিত এই দ্বীপরাষ্ট্রের পাওয়ার গ্রিডের জন্য বিদ্যুৎ তৈরি করছে। জার্মান কোম্পানি স্কাইসেইলস পাওয়ার ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এই ব্যবস্থা চালু করেছে। এর বিশাল পাখাটি বিশ্বের প্রথম সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত বাণিজ্যিক ‘বায়ুবাহিত বায়ুবিদ্যুৎ’ ব্যবস্থা। কোম্পানিটি বলেছে, দুই মাস ধরে তারা ১০০ কিলোওয়াটের কাছাকাছি বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। এই বিদ্যুৎ সাধারণত ৫০টি বাড়ির জন্য যথেষ্ট। এটি দ্বীপরাষ্ট্রটির বিদ্যুতের মোট চাহিদার একটি ক্ষুদ্র অংশ। তবে স্কাইসেইলস আশা করছে, সামনের দিনগুলোতে পরিবর্তন ঘটাবে তারা। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের পূর্বাভাস হলো, ২০৫০ সালের মধ্যে বায়ুবিদ্যুৎ ১১ গুণ বাড়বে। বায়ু এবং সৌরবিদ্যুৎ তখন মোট চাহিদার ৭০ শতাংশের জোগান দেবে। গত এক দশকে বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ প্রায় ৪০% কমেছে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, বিশাল টারবাইনগুলো সবসময় সর্বোত্তম সমাধান নয়। এগুলো ব্যয়বহুল হতে পারে। সূত্র :বিবিসি।