ডাঃ শাহজাহান হাবিব \ ২০২০ সালের ১৩ মে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের নিদারুণ আঘাতে কোলা ও হাজরাখালি পাউবো’র বাঁধ ভেঙ্গে খোলপেটুয়া নদীর করাল গ্রাসে ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয় আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নটি। এখনও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের নির্দয় আঘাতের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারিনি শ্রীউলার অবহেলিত জনগোষ্ঠী, সংস্কার হয়নি অধিকাংশ ছোট-বড় রাস্তা, ফলে ২টি বছর পেরিয়ে গেলেও বহুল জনব্যবহৃত রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় সীমাহীন ভোগান্তিতে আছে এলাকাবাসী। এমনি একটি রাস্তা- কলিমাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে কলিমাখালী স্লুইস গেট পযর্ন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তাটি আম্ফানে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ও গ্রামবাসীসহ হাজারো পথচারীরা। প্রায় ম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়ে যাওয়া রাস্তাটির সামান্য অংশে মাটি পড়লেও প্রায় অধিকাংশ রাস্তাটি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। সবচেয় বেশী বিপাকে পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ও বয়স্করা। কারণ কলিমাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলিমাখালী প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুল ও কলিমাখালী আজিজিয়া ছিদ্দিকীয়া সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উলেখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তায়াতের অন্যতম রাস্তা ছিলো এটি। ১৫ মিনিটের রাস্তার পরিবর্তে বিকল্প পথে ১/২ঘন্টা সময় লাগছে গন্তব্যে পৌঁছাতে ক্তভোগীদের। অপরদিকে রাস্তাটি বিলীন হওয়ায় বয়স্ক ও দূর্বল ব্যক্তিগণ তারা দীর্ঘদিন মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে পারে না। কারণ তাদের ধারণা মসজিদে যেতে গিয়ে আর হয়তো বাড়ী ফেরা হবে না। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী আর বয়স্কদের নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয় পরিবারের অন্য সকলের। গ্রামবাসীসহ হাজারও পথচারী এ রাস্তাটি ব্যবহার করে। এ অঞ্চলের প্রধান অর্থকরী ফসল সাদা সোনা খ্যাতো বাগদা-চিংড়ি- ক্রয় বিক্রয়ের নিমিত্তে হাজারও মৎস্য চাষীগণ- মাড়িয়ালা, মহিষকুড় ও মহেশ্বরকাটি মৎস্য শেডে যাতায়াত করে থাকে এই রাস্তাটি ব্যবহার করে। সুতরাং রাস্তাটি চলাচলের সম্পূর্ণভাবে অনুপযোগী হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। যাতে দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থী সহ এলাকার মানুষের চরম ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।