শ্রীউলা (আশাশুনি) প্রতিনিধি \ সকলের মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন আশাশুনির শ্রীউলার বিবাহ ও তালাক রেজিস্টার মাওঃ আব্দুল গফফার (৪৮)। লাঙ্গলদাড়িয়া গ্রামের মরহুম মুন্সী এনতাজ আলী সানার কনিষ্ঠ পুত্র, আশাশুনি সরকারী কলেজের প্রভাষক আব্দুল মালেকের কনিষ্ঠ ত্রাতা, শ্রীউলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ও শ্রীউলা ইউনিয়নের বিবাহ ও তালাক রেজিস্টার মাওঃ আব্দুল গফফার দীর্ঘ দিন ধরে বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত হয়ে উভয় কিডনি বিকল হওয়ায় বাংলাদেশ ও ভারতের উলেখযোগ্য হাসপাতালে চিকিৎসা ও কিডনি ডাইলোসিস করিয়েও শেষ রক্ষা হলোনা, অবশেষে সাতক্ষীরা হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসারত অবস্থায় রবিবার দিবাগত রাত ১টা ১০মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে সবাইকে কাঁদিয়ে চলেগেলেন না ফেরার দেশে। তার এই অকাল মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আশাশুনি সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক দীপঙ্কর বাছাড় দীপু ও সাবেক চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল উপজেলা বিবাহ ও তালাক রেজিস্টার সভাপতি মাওঃ ইব্রাহীম খলিল ও এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুস ও স্বজনরা তাকে শেষ বারের মতো একবার দেখার জন্য ও শেষ বিদায় জানাতে তার নিজ বাড়ীতে ছুটে আসেন। সুমিষ্ট ভাসী, সদালাপী ও বিনম্র স্বভাব সুলভ মাওঃ আব্দুল গফফারের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের মাতম চলছে। এলাকাবাসী ও স্বজনরা যেন আব্দুল গফফারের অকাল মৃত্যুকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। যদিও কান্নায় বুক ফেটে যাচ্ছে তবুও বাস্তব সত্যকে মেনে নিতে হচ্ছে তাদের। সোমবার জোহর নামাজ শেষে বিকাল ৩ টায় লাঙ্গল দাড়িয়া ঈদগাহ ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। নামজে জানজায় ইমামতি করেন মরহুমার ভগ্নিপতি মাওঃ মুনসুর আহমেদ। জানাজার প্রাক্কালে মরহুমের জীবনের উলেখযোগ্য দিক তুলে ধরে আলোচনা রাখেন মাওঃ নূরুল আফছার , মরহুমের ভ্রাতা প্রভাষক আব্দুল মালেক, মাওঃ আবুল হাসান ও মাওঃ শহীদুলাহ হাবিবী প্রমুখ। প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমান ও প্রভাষক সিরাজুল কবীরসহ স্বজনরা, রাজনৈতিব ব্যক্তিবর্গ ও এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজারও ধর্ম প্রাণ মুসলিমগণ জানাজায় অংশ গ্রহণ করেন।। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১পুত্র, ১কন্যা ও ভাই বোন সহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।