এফএনএস: চাঁদপুর সদর উপজেলায় দৈনিক জমা বাবদ পাওনা টাকার জন্য অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার ভোর ৫টার দিকে বাগাদী ইউনিয়নের চৌরাস্তা এলাকার এক দোকান থেকে ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার পরির্দশক (তদন্ত) রাজিব চক্রবর্তী। নিহত শরীফ তালুকদার (১৯) বাগাদী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ সাখুয়া গ্রামের তালুকদার বাড়ির মফিজ তালুকদারের ছেলে। শরীফের স্ত্রী বিউটি বেগম ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় গতকাল রোববার দুপুরে নিহতের মামা মো. জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি চৌরাস্তার অটোরিকশার পার্টসের দোকানদার নানুপুর গ্রামের মুজিব গাজীর ছেলে মো. রাসেল গাজী (২৮) ও তার দোকানের মিস্ত্রি সুমন পাটওয়ারী (৩৫)সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের উল্লেখ করেছেন। জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া জানান, তার ভাগিনা শরীফের কাছে রাসেল গাজী সিএনজিচালিত অটোরিকশার দৈনিক ভাড়া বাবদ ১১ হাজার টাকা পাওনা ছিল। ওই টাকা আগামী ১২ ডিসেম্বর পরিশোধ করার কথা। কিন্তু গত শনিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে রাসেল তার দোকানে ডেকে এনে শরীফকে বেদম মারধর করে। মারধরে তার মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরে পরনের বেল্ট দিয়ে দোকানের কাঠের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে তারা পালিয়ে যায়।” পরে ভোর রাতে এলাকার মনির হোসেন মেম্বারের মাধ্যমে তারা এই ঘটনা জানতে পারেন এবং ঘটনাস্থলে যান। নিহতের শ্বশুর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ হরিণা গ্রামের মোশরফ সিকদার বলেন, “মেয়ে আমাকে জানিয়েছে গত রাতে দোকানদার রাসেল টাকার জন্য শরীফকে দোকানে আটকে রাখে। মেয়েকে তিন হাজার টাকা পাঠানোর জন্য চাপ দেয় রাসেল। “তখন বিউটি সকালে টাকা দিবে এবং তার স্বামীকে ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু তারা মেয়ের কথায় কর্ণপাত করেনি।” পুলিশ পরিদর্শক চক্রবর্তী বলেন, খবর পেয়ে থানার উপ—পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল থেকে ওই চালকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তিনি আরও বলেন, “এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”