এফএনএস: চাঁদপুরে সম্পত্তির বিরোধে এক মোবাইল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়ে। এ ঘটনায় আহত হন তার ভাই। আটক করা হয় তিনজনকে। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কুমারডুবি এলাকার পাটওয়ারী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে বলে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া জানান। নিহত ৪০ বছর বয়সী ইউসুফ পাটওয়ারী (৪০) ওই এলাকার কলিম উল্লাহ পাটওয়ারী ছেলে। তিনি শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনায় ইউসুফ পাটওয়ারীর বড় ভাই ইব্রাহীম পাটওয়ারীকে (৬০) কুপিয়ে জখম করা হয়। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় একই এলাকার মাইনুদ্দিন প্রধানিয়া (৬০), তার স্ত্রী হাজেরা (৪৩) ও ছেলে রমজানকে আটক করেছে পুলিশ। ইউসুফের বোন আমেনা আক্তার বলেন, “সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে খালাতো ভাই মাইনুদ্দিন প্রধানিয়া, তার ছেলে রমজান, রবিউল ও রহিম ইউসুফকে হুমকি দিয়ে আসছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই সকালে ইউসুফের বাড়িতে ঢ়ুকে মাইনুদ্দিন ও তারা ছেলেরা ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। “এতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয় বড় ভাই ইব্রাহীম। আমরা এই খুনের বিচার চাই।” নিহত ইউসুফ পাটওয়ারী চাঁদপুর শহরের শপথ চত্ত্বর মোড়ে মেহেদী মোবাইল হাউজ নামে একটি শো—রুম চালাতেন। তার স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। ওসি বাহার মিয়া বলেন, ঘটনাস্থল থেকে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়। আর নিহতের লাশ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আমিনুল ইসলাম সুমন বলেন, আমরা ইউসুফকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তার মাথা, কপাল, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে ডান পাশের ঘাড়ে যে আঘাত পেয়েছেন, সেটিতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আহত ইব্রাহিম মিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানেও একাধিক ছুরি—ঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। যার কারণে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছি।”