বিলাল হুসাইন খেশরা থেকে ফিরে ঃ চাকরির পাশাপাশি বানিজ্যিকভাবে লাভের আশায় হাইব্রিড জাতের থাই-কদবেল চাষ করে সফল হয়েছেন তালা উপজেলা খেশরা ইউনিয়নের মৃত্যু শেখ মোজাম্মেল হকের পুত্র শেখ মোঃ গোলাম মোস্তফা। তিনি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ হিসেবে বিদেশী হাইব্রিড জাতের থাই কদবেল উৎপাদন করে এলাকায় রীতিমত সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন। হাইব্রিড জাতের থাই কদবেলের চাষ জেলায় সচারাচার তেমন একটা দেখা যায় না। এ ফলের পর্যাপ্ত পরিমান চাহিদা থাকলেও দীর্ঘ মিয়াদী এবং ব্যয়বহুল হওয়ায় কেউ এ চাষের দিকে বেশী একটা আগ্রহ দেখাই না। শেখ মোঃ গোলাম মোস্তফা পেশায় একজন সরকারী চাকরিজীবি। বর্তমানে তিনি আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। চাকরির পাশাপাশি কৃষি কাজে হয়েছেন বেশ মনোযোগী। নিজ কর্মস্থল থেকে বাড়ী ফিরে বাকী সময়টা কাটান তার নিজস্ব কদবেল ক্ষেতের জমিতে। দৈনিক দৃষ্টিপাতের সাথে একান্ত আলাপে শেখ মোঃ গোলাম মোস্তফা জানান বিশেষ করে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে লবনাক্ত হওয়ার কারণে এ এলাকায় থাই কদবেলের চাষ অত্যন্ত সহনশীল। ৬৬ শতক জমিতে তিনি উন্নত জাতের থাই- কদবেলের চাষ করেছেন। জমিতে মোট ১৮০ পিচ হাইব্রিড জাতের থাই কদবেল চারা রোপন করেছেন। চারা রোপন থেকে শুরু করে ৬৬ শতক জমিতে এই পর্যন্ত তার সর্বমোট খরচ হয়েছে ১ লক্ষ টাকার মত। বর্তমানে গাছের চারার বয়স হয়েছে মাত্র ২ বছর। এর মধ্যে কিছু কিছু গাছে কদবেলের ফুল আসতে শুরু করেছে। তিনি জানান আগামী বছর আসতে আসতে প্রত্যেক গাছে পরিপূর্ণ ফলের ধরণ আসবে। তবে কদবেলের ফলন যদি ভালো হয় তাহলে বানিজ্যিকভাবে বেশ লাভবান হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। পরীক্ষামূলক ভাবে থাই কদবেল উৎপাদনে সফলতা পেলে হয়তো অনেক কৃষক এই কদবেল চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ হবেন।