শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৩:৪১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সাতক্ষীরায় ট্রাকের ধাক্কায় ১ ভ্যান চালকের করুন মৃত্যু সাতক্ষীরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা শ্যামনগরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত কদমতলা পি ডি কে মিতালী সংঘের উদ্যোগে তাফসিরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত আবারও ছড়িয়ে পড়েছে তাপদাহ ঃ আবহাওয়ার সুখবর নেই হামাসের হামলায় বার দখলদার সেনা নিহত ঃ আহত পঞ্চাশ খানপুর ছিদ্দিকীয়া এতিমখানা পরিদর্শন করলেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা প্রতাপনগরে ২ দিন ব্যাপী তাফসিরুল কুরআন মাহফিল বিষ্ণুপুর ২দিন ব্যাপি মাহফিল সম্পন্ন কবি মানিক ঘোষের পিতা-মাতার স্মারণে বিশেষ প্রার্থনা

চাল খাওয়া কমে গম-ভুট্টার চাহিদা বাড়ছে -গবেষণা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০২২

এফএনএস: দেশের মানুষ দানাদার খাদ্য থেকে সিংহভাগ ক্যালরি গ্রহণ করে। তবে মোট ক্যালরি গ্রহণের হার এখন বেশ কমেছে। আগামীতে সেটি আরও কমবে। সে সময় ক্যালরি গ্রহণের জন্য চাল গ্রহণের মাত্রা কমে যাবে। তবে বাড়বে গম, ভুট্টা এবং প্রাণিজ খাবার গ্রহণের মাত্রা। ধান, গমসহ ২৮টি ফসলের ভবিষ্যৎ চাহিদা ও যোগান নিরূপণে পরিচালিত গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বিএআরসির তত্ত¡াবধানে এ গবেষণা করা হয়। এতে বলা হয়, ১৯৯০ সালে দানাদার খাদ্য থেকে মোট ক্যালরি গ্রহণের হার ছিল ৮৯.৬ শতাংশ। যা ২০১০ সালে হ্রাস পেয়ে ৮৩.০ শতাংশ এবং ২০২১ সালে এসে ৮০.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগামী ২০৩০ এবং ২০৫০ সালে দানাদার খাদ্য থেকে মোট ক্যালরি গ্রহণের হার আরও হ্রাস পাবে। যা ওই সময় যথাক্রমে ৭৯.৬ শতাংশ এবং ৭৭.৫ শতাংশ হবে। গবেষণায় বলা হয়, ১৯৯০ সালে শুধু চাল থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার ছিল ৮০.৪ শতাংশ। যা ২০২১ সালে হ্রাস পেয়ে ৭০.৫ শতাংশ হয়েছে এবং আগামী ২০৩০ এবং ২০৫০ সালে হবে যথাক্রমে ৭২.৬ শতাংশ এবং ৭০.৪ শতাংশ। তবে এও বলা হচ্ছে, ২০১০ থেকে ২০২১ সাল সময়কালে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তে চাল থেকে ক্যালরি গ্রহণের ধারা ক্রমহ্রাসমান নির্দেশ করলেও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, পরবর্তী সময়, বিশেষ করে ২০৫০ সাল পর্যন্ত চাল থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার স্থির হবে। চালে কমলেও এ সময় খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের কারণে গম থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার ক্রমান্বয়ে বাড়বে। গম থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার ২০১০ সালে ছিল ৬.৬ শতাংশ, ২০৩০ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৬.৭ শতাংশ। যা অব্যাহত থেকে ২০৫০ সালে ৬.৮ শতাংশে পৌঁছাবে। অনুরূপভাবে বাড়বে ভুট্টা থেকে ক্যালরি গ্রহণের মাত্রাও। ২০১০ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ভুট্টা থেকে ক্যালরি গ্রহণ দৈনিক মাথাপিছু ৬.০ ক্যালোরি থেকে ৬.৫ ক্যালরিতে বৃদ্ধি পাবে এবং তারপর স্থিতিশীল হবে। গবেষণায় বলা হয়, দানাদার খাদ্যের মধ্যে চাল থেকে ক্যালরি গ্রহণ সর্বাধিক স্তরে পৌঁছেছে। এরপর আয় বৃদ্ধি পেলেও চাল থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার বাড়বে না। বলা যায়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে এশিয়ার অন্যান্য দেশের অনুরূপ বাংলাদেশেও মাথাপিছু দৈনিক চাল গ্রহণের প্রবণতা কমতে থাকবে। ১৯৯০ থেকে ২০১০ সালের তথ্য থেকে সুস্পষ্ট যে, আলু, শাকসবজি এবং প্রাণিজ খাবার থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার দিন দিন বেড়েছে। আগামী ২০৩০ ও ২০৫০ সালের প্রক্ষেপণেও এগুলো থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার বৃদ্ধির প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com