বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবস্থান ও পরিস্থিতির নাম চিংড়ী শিল্প। বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের চিংড়ীর চাহিদা অন্য যে কোন দেশের উৎপাদিত চিংড়ী অপেক্ষা সর্বাধিক, প্রতি বছর দেশ চিংড়ী রপ্তানীর মধ্য দিয়ে শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে থাকে। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীন ও বৈদেশিক উভয় ক্ষেত্রে চিংড়ীর অবাধ বিচরন। ইতিপূর্বে চিংড়ী কেবল রপ্তানী হতো এবং চিংড়ীর রপ্তানীর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জিত হতো। কিন্তু বাস্তবতা হলো চিংড়ী বর্তমান সময় গুলোতে সা¤প্রতিক বছর গুলোতে অভ্যন্তরীন বাজারের চাহিদার ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশের বাজারে চিংড়ীর চাহিদা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের অন্যতম চিংড়ী উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে সাতক্ষীরার অবস্থান অনেক উর্ধে আর দেশের বাজার গুলোতেও সাতক্ষীরার চিংড়ীর চাহিদা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক বছর যাবৎ সাতক্ষীরার চিংড়ী রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট সহ অপরাপর, বিভাগীয় শহর গুলোতে রপ্তানী তথা বাজার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে করোনা কালীন সময় গুলোতে যখন আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ী রপ্তানীতে প্রতিবন্ধকতা তথা নিষেধাজ্ঞা জারি হয় তখন দেশের বাজারই একমাত্র অবলম্বন হিসেবে বিবেচিত হয়। সেই যে যাত্রা শুরু বর্তমান সময় পর্যন্ত দেশের বাজারে আমাদের চিংড়ীর বাজার অভাবনীয় ভাবে সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের চিংড়ী যখন সুনাম আর সুখ্যাতির দ্বারে এবং দেশের সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধি করে চলেছে ঠিক সেই সময় গুলোতে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ করছে। পুশ করার কারনে চিংড়ীর ওজন বৃদ্ধির অশুভ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ করার কারন হেতু চিংড়ীর গুনগত মান পরিবর্তন হয়ে জীবানুযুক্ত হয়। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা চিংড়ীতে পুশ করছে যে কারনে দেশে বিদেশে আমাদের চিংড়ীর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। পুশ চক্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। দেশের স্বার্থে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে পুশ বন্ধের বিকল্প নেই।