বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের মাধ্যম গুলোর মধ্যে অন্যতম চিংড়ী শিল্প। এই শিল্প বিশ্ব বাজারে রপ্তানীর মাধ্যমে দেশ প্রতি বছর শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে আসছে। আমাদের দেশের গার্মেন্টস শিল্পের পরই চিংড়ী শিল্পের অবস্থান আর এ জন্য এই শিল্পের গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা বিশেষ ভাবে আলেখ্য। বাংলাদেশ বিশ্ব সভার মধ্যে অন্যতম দেশ হিসেবে পরিচিতি যে দেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উৎপাদিত চিংড়ীর সিংহ ভাগ উৎপাদন করে থাকে, এখানেই শেষ নয় এই শিল্প দেশের অভ্যন্তরীন অর্থনীতিকে ব্যাপক ভাবে চাঙ্গা রেখেছে, আন্তর্জাতিক বিশ্ব আমাদের দেশ কে যতগুলো বিষয়ে সমীহ করে চলে এবং মর্যাদা দিয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হলো চিংড়ী শিল্পের অগ্রযাত্রা এবং বিশ্ব বাজারে রপ্তানী। বিশ্ব সভায় যেমন বাংলাদেশ চিংড়ী উৎপাদনকারী দেশ সমুহের মধ্যে সর্বেসর্বা অনুরুপ ভাবে সাতক্ষীরা জেলা দেশের সর্বাধিক চিংড়ী উৎপাদন করে থাকে। সাতক্ষীরার বিশলক্ষাধীক জন সমষ্টি দৃশ্যতঃ চিংড়ী নির্ভর অর্থনীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত। আমাদের চিংড়ী শিল্প সা¤প্রতিক বছর গুলোতে অত্যন্ত দুঃসময় অতিক্রম করছে আর পরিস্থিতি ও বাস্তবতা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের চিংড়ী যে কোন সময়ে বাজার মূল্য হারানোর পাশাপাশি নিষিদ্ধ হতে পারে। বাস্তবতা হলো বিশ্ব ব্যবস্থায় বাংলাদেশ চিংড়ীর কল্যানে সম্মানিত এবং বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে চলেছে সেই চিংড়ীর কৃত্রিম ভাবে ওজন বৃদ্ধির লক্ষে এক শ্রেনির অসাধু ব্যবসায়ীরা চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ করছে আর অপদ্রব্য পুশের মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধি ঘটলেও চিংড়ীর গুনগত মান থাকছে না। চিংড়ী স্বাস্থ্য সম্মত না থেকে স্বাস্থ্য হানীর কারনে পরিনত হচ্ছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় চলছে চিংড়ীতে পুশ, জেলার বিভিন্ন মৎস্য সেটের আশপাশের চিংড়ী ডিপোগুলোতে চলছে পুশ। ভ্রাম্যমান আদালত, নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করলেও থামছে না পুশ করা চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ করে তারা নিশ্চিত দেশের শত্র“ আর এই শত্র“দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই সময়ের দাবী।