বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিশেষ ভাবে বিবেচিত এবং প্রতিষ্ঠিত চিংড়ী মাছ। ইতিমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের ক্ষেত্র হিসেবে চিহিৃত হওয়ায় চিংড়ীকে সাদা সোনা হিসেবে অভিহত করা হয়। দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে অসামান্য অবদান রক্ষাকারী সাদা সোনা চিংড়ী আমাদের দৈনন্দিন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে চিংড়ী নির্ভর অর্থনীতি কাঙ্খিত ভূমিকা পালন করে চলেছে। দেশের অর্থনীতির পাশাপাশি আর্থ সামাজিক বাস্তবতা ও পরিস্থিতির ক্রমান্বয়ে উন্নতি হচ্ছে। যে শিল্প দেশের অর্থনীতির অন্যতম বুনিয়াদ এবং স্তম্ভ সেই শিল্প ধ্বংসের মহাউৎসব চলছে রপ্তানী যোগ্য চিংড়ীতে বিভিন্ন ধরনের অপদ্রব্য পুশের মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধির অশুভ প্রবনতা, এক শ্রেনির অসাধু চিংড়ী ব্যবসায়ীরা চিংড়ীর ওজন কৃত্রিম উপায়ে বৃদ্ধি করার ফলশ্র“তিতে চিংড়ী স্বাস্থ্য সম্মত পরিস্থিতির পরিবর্তে স্বাস্থ্যহীনতায় পৌছাচ্ছে। চিংড়ীতে ওজন বৃদ্ধির জন্য জেলি, সাগু, পানি, ভাতের মাড় সহ নানান ধরনের অস্বাস্থ্যকর তরল পদার্থ পুশ করছে। মাঝে মধ্যে চিংড়ীতে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালিত হলেও কয়েকদিন যেতে না যেতেই আবারও অসাধু ব্যবসায়ীরা পূর্বের অবস্থানে ফিরে যায়। বুধবার সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম বৃহত্তর চিংড়ী মোকাম খ্যাত পারুলিয়া মৎস্য সেড এলাকা ও চিংড়ী ডিপো গুলোতে র্যাব-৬ ও দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর সমন্বয়ে চিংড়ীতে পুশ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। হঠাৎ এই অভিযানে অসাধু ব্যবসায়ীরা চিহিৃত হয় অন্তত নয় জন শ্রমিক যারা মুজুরী ভিত্তিতে চিংড়ীতে পুশ কাজ পরিচালনা করতেন তাদের ৯ জনকে ভ্রাম্যমান আদালত হাতে নাতে চিহিৃত করে এবং প্রতিজন কে তিন দিন করে কারাদ্বন্ড প্রদান করেন। একজন অসাধু ব্যবসায়ীকে ২৫,০০০/= পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানাও করে। সততার সাথে ব্যবসা পরিচালনাকারী ব্যবসায়ীরা এবং এলাকাবাসি র্যাবের চিংড়ীতে পুশ বিরোধী অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন। র্যাবের চিংড়ীতে পুশ বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। কোন অসাধু চিংড়ী ব্যবসায়ী যেন কোন অবস্থাতেই রপ্তানী যোগ্য এবং দেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ করতে না পারে। যারা বা যে সকল অসাধু ব্যবসায়ীরা পুশ করে এবং পুশের সহেযাগিতা করে একই সাথে পুশকারীদের মাধ্যমে সুবিধা গ্রহন করে তাদেরকে চিহিৃত পরবর্তি আইনের আওতায় আনতে হবে।