বাংলাদেশ বর্তমান সময়ে রপ্তানী কারক দেশ হিসেবে নিজেকে ভাবে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিশ্ব বাজারে আমাদের দেশের অবস্থান রপ্তানী ক্ষেত্রে অনেক অনেক উঁচুতে আর এ কারনে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের সুনাম ও সুখ্যাতি দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্ব বাজারে যতগুলো বিষয়ে আমরা রপ্তানীতে শীর্ষে এবং বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনে সক্ষম তার মধ্যে অন্যতম চিংড়ী রপ্তানী। দেশে উৎপাদিত চিংড়ী শিল্প রপ্তানী পরবর্তি দেশ প্রতি বছর শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে থাকে আর দেশের অর্থনীতিতে উক্ত বৈদেশিক মুদ্রা বিশেষ ও কাঙ্খিত ভূমিকা পালন করে চলেছে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমান সময়ে অত্যাধিক অগ্রগামী। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। দেশের রপ্তানী বাণিজ্যের প্রভাব হেতু প্রতি বছর বৈদেশিক মুদ্রার অর্জন বেড়েই চলেছে আর অপরাপর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের মধ্যে অন্যতম চিংড়ী শিল্প। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চিংড়ী শিল্পের প্রভাব ও প্রতিপত্তি সা¤প্রতিক সময়ে নয়। দীর্ঘ দুই শতকের অধিক সময় যাবৎ আমাদের দেশের অর্থনীতিতে চিংড়ী শিল্প ব্যাপক ভিত্তিক ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিশ্ব মিডিয়ায় আমাদের দেশের অর্থনীতির উন্নতির অন্যতম মাধ্যম হিসেবে চিংড়ীর ভূমিকা বারবার প্রশংসিত হয়ে আসছে। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীন রাজস্ব উপার্জনের ক্ষেত্রেও চিংড়ী কাঙ্খিত ও যথাযথ ভূমিকা পালন করে চলেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চিংড়ী শিল্পের অবস্থান অধিকতর সুসংহত করার ক্ষেত্রে চিংড়ী চাষি সহ ঘের ব্যবসায়ীদেরকে কাঙ্খিত সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। চিংড়ী শিল্পের উন্নয়নে এবং অগ্রগতিতে সম্মিলিত প্রয়াস গ্রহন করতে হবে এবং চিংড়ী শিল্পে প্রনোদনা প্রদান করতে হবে। চিংড়ী শিল্প আরও অগ্রগামী হোক এই প্রত্যাশা।