শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন

চিংড়ী শিল্পে নাজুক অবস্থা কাম্য নয়

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের বিশেষ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে চিংড়ী শিল্প। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে, বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের ক্ষেত্র চিংড়ী শিল্প বিশ্ব বাজারে রপ্তানীর মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতি বছর শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে থাকে। আমাদের বৈদেশিক বাণিজ্যের সুদুরভিত্তি হিসেবে চিহিৃত হয়েছে চিংড়ী শিল্প। বাস্তবতা হলো এদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে চিংড়ী শিল্প এই শিল্পের কল্যানে কেবল বৈদেশিক মুদ্রার উপস্থিতি সুসংহত হচ্ছে তা নয় জাতীয় অর্থনীতির পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিতেও বিশেষ এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের অপরাপর রপ্তানী পণ্য গুলো হতে যে পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জিত হয় সে অপেক্ষা চিংড়ী শিল্প রপ্তানীর মাধ্যমে অধিকতর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশ। বিশ্ব ব্যবস্থায় তথা আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশ চিংড়ী শিল্প রপ্তানীর মাধ্যমে কেবলমাত্র বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে তা নয়, বিশ্বময় আমাদের দেশের সম্মান ও মর্যাদা ব্যাপক হতে ব্যাপকতর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের দেশে দেশে আমাদের দেশের সুনাম ও সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ বিশ্বের এমন এক চিংড়ী রপ্তানী কারক ও উৎপাদনকারী দেশ যে দেশের উৎপাদিত চিংড়ী বিশ্বের অপরাপর চিংড়ী উৎপাদনকারী দেশ গুলোর অপেক্ষা গুনগত মান দিক দিয়ে অনেক অনেক উচ্চতায়। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের এবং অর্থনীতির প্রান হিসেবে খ্যাত চিংড়ী শিল্প বর্তমান সময় অত্যন্ত কঠিন এবং নাজুক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। সাতক্ষীরা হতে প্রকাশিত এবং বহুল প্রচারিত দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকা গতকাল এফএনএস পরিবেশিত প্রতিবেদনে নাজুক অবস্থায় দেশের হিমায়িত চিংড়ী শিল্প” শিরোনামে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বর্তমান চলমান রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে আমাদের অন্যতম প্রধান রপ্তানী মাধ্যম চিংড়ী শিল্প, দীর্ঘ বছর যাবৎ রাশিয়া ও ইউক্রেন বাংলাদেশ হতে চিংড়ী আমদানী করে আসছিল কিন্তু দেশ দু’টি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় উলে­খিত দেশ দু’টি চিংড়ী নিচ্ছে না, যে কারনে চিংড়ী রপ্তানী বাণিজ্যে বিরুপ প্রভাব পড়েছে। একই সাথে সমগ্র ইউরোপ জুড়ে যুদ্ধ আতঙ্ক ও যুদ্ধের দামামা। ইউরোপের উলে­খযোগ্য সংখ্যক দেশ চিংড়ীর ক্ষেত্রে একদিকে যেমন অনিহা প্রকাশ করছে অন্যদিকে নানান ধরনের শর্ত প্রয়োগের বিষয়টি উলে­খ্য। বিদ্যুৎ সংকট, হিমায়িত চিংড়ীর বাজারজাত করনের নানা মুখি প্রতিবন্ধকতা ও বিদ্যমান। আমাদের সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ীর রপ্তানীতে সমস্যা হলে তা হবে দেশের জন্য ক্ষতি। বিশ্ব বাজারে চিংড়ী রপ্তানীতে অগ্রগামীর বিকল্প নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com