এফএনএস: বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক যতক্ষণ পর্যন্ত মানসম্মত চিকিৎসাসেবা দেওয়া শুরু না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল বৃহস্পতিবার কুমিলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আয়োজিত ছয় জেলার স্বাস্থ্য স্থাপনা উদ্বোধন এবং প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে এ কথা বলেন তিনি। জাহিদ মালেক বলেন, এর আগে স্বাস্থ্যবিভাগের অভিযানে ১ হাজার ৭০০ অবৈধ ক্লিনিক-হাসপাতাল বন্ধ করা হয়েছে। যারা এখনো নিবন্ধন করেনি বা নিবন্ধন দেখাতে পারছে না সেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে। দেশের করোনা টিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, করোনার টিকার জন্য ৪৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। বহু দেশে বিনামূল্যে টিকা দেয়নি, টাকা দিয়ে কিনে নিতে হয়েছে। আমরা সব মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার নিয়ে তিনি বলেন, উন্নত সেবার জন্য এখন ঢাকায় যেতে হবে না। কুমিলাতেই সব স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডাক্তারদের উপস্থিতি, রোগীদের সেবা ও হাসপাতাল পরিষ্কারে সার্বিক বিষয়গুলো খেয়াল করলে দেশের হাসপাতালগুলো আন্তর্জাতিক মানের হবে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, কুমিলা-৫ আসনের (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম খান, কুমিলা-২ আসনের (হোমনা-তিতাস) সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী, স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (মেডিকেল এডুকেশন) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ প্রমুখ।