এফএনএস বিদেশ : চীনের সঙ্গে ‘নতুন স্নায়ুযুদ্ধে’ না জড়াতে নিজ দেশকে সতর্ক করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি। তিনি বলেছেন, ব্রিটেনের অবশ্যই চীনের সঙ্গে মিলে কাজ করতে হবে। দেশটির সঙ্গে ‘নতুন স্নায়ুযুদ্ধে’ জড়িয়ে পড়া ঠিক হবে না। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার জেমস ক্লেভারলি নিজ দল কনজারভেটিভ বা টোরি পার্টির চীন নীতির বিষয়ে সতর্ক করে এ মন্তব্য করেন।পলিটিকোর মন্তব্যে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার দেয়া এক বক্তব্যে জেমস ক্লেভারলি টোরি পার্টির চীন বিষয়ক নীতির নতুন রূপরেখা প্রকাশ করবেন। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের আমলে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতির হালনাগাদকরণ এবং উদীয়মান পরাশক্তির সঙ্গে সম্পর্ককে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করা হবে সে বিষয়েও আলোকপাত করবেন। এই বিষয়ে দলটিতে সপ্তাহ খানেক আগেই বেশ বিতর্ক হয়েছে। ক্লেভারলি বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ত্রিমুখী দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রথমত, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা সেক্টরগুলোতে চীনা সম্পৃক্ততা কমিয়ে আনা। দ্বিতীয়ত, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা; এবং তৃতীয়ত, চীনের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক উন্নীত করার জন্য সরাসরি যোগাযোগ বাড়ানো। জেমস ক্লেভারলি বলেন, ‘আমার জন্য (চীনের বিপক্ষে) একটি নতুন শীতল যুদ্ধ ঘোষণা করা এবং চীনকে বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়া খুবই পরিষ্কার, সহজ এবং সম্ভবত সন্তোষজনক হবে। কিন্তু পরিষ্কার, সহজ দৃষ্টি হবে ভুল। কারণ এমনটা হবে আমাদের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা এবং আধুনিক বিশ্বের ইচ্ছাকৃত ভুল বোঝাবুঝি।’ জেমস ক্লেভারলি আপাত দৃষ্টিতে চীনের প্রতি নমনীয় হলেও তার প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক চীনের বিষয়ে এখনো অনমনীয়। এর উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরপরই ওয়েলসে থাকা চীনের মালিকানাধীন একটি সেমিকন্ডাক্টর কারখানাকে বিক্রি করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বিপরীতে ক্লেভারলি স্পষ্টভাবেই চীনের সঙ্গে একটি সরাসরি সম্পর্ক গড়ে তোলার পক্ষপাতী।