এফএনএস আন্তজার্তিক ডেস্ক: উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে একটি নার্সিং হোমে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। দেশটির পুলিশ ইতোমধ্যেই নার্সিং হোমটির মালিককে আটক করেছে, এবং অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে।
সিনহুয়া ও গ্লোবাল টাইমস—এর খবরে জানা গেছে, চেংদি শহরের লংহুয়া কাউন্টিতে অবস্থিত নার্সিং হোমটিতে গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ২০ জন বয়স্ক বাসিন্দা। বাকি ১৯ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
গতকাল বুধবার সকালে রাষ্ট্রায়ত্ত চীনা টেলিভিশন সিসিটিভি নিশ্চিত করে, নার্সিং হোমের মালিককে ঘটনার জন্য দায়ী হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভবনের নিরাপত্তাব্যবস্থায় গাফিলতি ও নির্মাণবিধি লঙ্ঘনের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিশেষজ্ঞদের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং অগ্নিকাণ্ডের উৎস নির্ধারণে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
চীনে বিগত বছরগুলোতে এমন দুর্ঘটনা বারবারই ঘটছে। বছরের শুরুতে, অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে, হেবেইয়ের ঝাংজিয়াকো শহরের একটি সবজির বাজারে অগ্নিকাণ্ডে আটজন নিহত হন এবং আরও ১৫ জন আহত হন। তারও আগে, রংচেং শহরে নির্মাণাধীন একটি ভবনে আগুনে প্রাণ হারান নয়জন শ্রমিক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনে ভবন নিরাপত্তা ও দমকল নীতিমালার প্রয়োগে শৈথিল্য, জরাজীর্ণ অবকাঠামো এবং শ্রমিক নিরাপত্তার ঘাটতি এমন দুর্ঘটনার জন্য বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি মহল থেকে বারবার সতর্কতা জারি করা হলেও স্থানীয় পর্যায়ে পর্যাপ্ত নজরদারি ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
এ ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছে হেবেই প্রাদেশিক সরকার। মৃতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ^াস দিয়েছে কতৃর্পক্ষ।