এফএনএস বিদেশ : চীনা কর্তৃপক্ষ গতকাল মঙ্গলবার দেশটির বিমান সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন বোয়িং কম্পানির কাছে কোনো নতুন বিমান অর্ডার না দেয়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে বেইজিং, যা ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক চীনা আমদানির ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের জবাব। এতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ আরো বাড়ল। ব্লম্নমবার্গ জানিয়েছে, বেইজিং অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্রের কম্পানিগুলোর কাছ থেকে যেকোনো ধরণের বিমানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম কেনা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, উচ্চ শুল্কের কারণে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বোয়িংয়ের বিমান ভাড়া নেওয়া চীনা এয়ারলাইন্সগুলোকে সরকার আর্থিকভাবে সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এ ছাড়া বাণিজ্যযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বোয়িংয়ের যন্ত্রাংশ ও বিমানের দাম এখন চীনের জন্য প্রায় দ্বিগুণ হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা জায়ান্ট বোয়িং পড়েছে বিপদের মুখে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো শান্তির আভাস না থাকায় বোয়িংয়ের সবচেয়ে বড় বাজার চীন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্লম্নমবার্গের মতে, আগামী ২০ বছরে বৈশ্বিক বিমান চাহিদার ২০ শতাংশ আসবে চীন থেকে। এমনকি ২০১৮ সালে বোয়িংয়ের মোট বিক্রির প্রায় ২৫ শতাংশই ছিল চীনে। এই পরিস্থিতি এমন সময় দেখা দিল, যখন চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মাত্র দুই দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছিল, তারা যেন চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত ১৪৫ শতাংশ শুল্ক ‘সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার’ করে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প হঠাৎ করেই কিছু প্রযুক্তিপণ্যকে চলমান শুল্ক যুদ্ধ থেকে ছাড় দিয়েছেন—যা অ্যাপলের মতো প্রযুক্তি জায়ান্টদের জন্য বড় স্বস্তির ইঙ্গিত। কারণ তাদের বেশির ভাগ পণ্যই চীনে তৈরি ও সংযোজন করা হয়। তবে শুল্ক নিয়ে ট্রাম্পের এমন অনিশ্চিত অবস্থান বিশ্বকে অস্থির করে রেখেছে। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে