চুকনগর প্রতিনিধি \ চুকনগরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক ব্যক্তির পাকা ঘর নির্মান কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি ডুমুরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। উপজেলার কোমলপুর গ্রামের মোঃ হায়দার আলী মোড়লের ছেলে মোঃ মোতাহার হোসেন মোড়ল প্রাপ্ত অভিযোগে উলেখ করেন, একই উপজেলার নরনিয়া গ্রামের মোঃ আসাদুল ইসলামের স্ত্রী ও বাদীর বোন মোছাঃ নাজমা বেগম চুকনগর মৌজা,যার জেএল নং-৯৩,খতিয়ান নং-২৪১,দাগ নং-১৩০,জমির পরিমান-০.০২৫০একর ভোগ দখলীয় জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তারই জের ধরে বিবাদীরা তার বোনকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরণের হুমকী ধামকি দিয়ে আসছে। এমতাবস্থায় গত ২৫মে সকালে তারা ইট দ্বারা পাকাঘর নির্মান করার জন্য ইট, সিমেন্ট ও রড এনে ঘর নির্মান করতে থাকে। এসময় বিবাদী নরনিয়া গ্রামের মৃত জব্বার গাজীর ছেলে মোঃ নুরুল ইসলাম গাজী, নুরুল ইসলাম গাজীর ছেলে বিলাল হোসেন গাজী ও স্ত্রী অজুফা বেগম তাদের ঘর নির্মান কাজে বাঁধা দেয়। এসময় বাদীর বোন ঘর নির্মান কাজে বাঁধা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিট করতে উদ্যত হয় বিবাদীরা। এসময় তারা ইট দ্বারা পাকা ঘর নির্মান করার ৮হাজার ইট, ৫০বস্তা সিমেন্ট ও ৪০মন রড নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা। এহেন অবস্থায় বিবাদীগণের নিকট উক্ত মালামাল ফেরত চাইলে দাঙ্গা হাঙ্গামাসহ শান্তি ভঙ্গের আশু সম্ভবনা বিদ্যমান আছে। নিরুপায় হয়ে বোনের সম্পত্তি রক্ষা ও মালামাল ফেরত পাওয়ার আশায় মোঃ মোতাহার হোসেন মোড়ল বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ কনি মিয়া বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই হাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগের পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে উভয় পক্ষকে থানায় যেতে বলেছি। কাগজ পত্র দেখে তারপর একটি সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। বিবাদী মোঃ বিলাল হোসেন বলেন, আমাদের জমিতে ওরা ঘর করবে কেন ? মনির কাছ থেকে যে স্থানে জমি কিনেছে, সেখানে গিয়ে ঘর করুক। আমাদের জমিতে আমরা ঘর করতে দেব না।