আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সমাধান হতে যাচ্ছে হাইব্রিড মডেল। সেক্ষেত্রে ভারতের ম্যাচগুলো হবে পাকিস্তানের বাইরে, তা পুরনো খবর। নতুন খবর হলো, ভারতের ম্যাচগুলো আয়োজনে আগ্রহী বাংলাদেশ। যদিও ভারত—বাংলাদেশ বর্তমান রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক সম্পর্ক এই সম্ভাবনা ভেস্তে দিতে পারে। এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিসিবি ইতোমধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভারতের ম্যাচগুলো আয়োজনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ নিয়ে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির সাথে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের আলোচনাও হয়েছে। সেই আলোচনায় নাকভি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে বাংলাদেশের সমর্থন চেয়েছেন। তখন ফারুক বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানান। তিনি বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে এখনই মন্তব্য করতে পারছি না। তবে হ্যঁা, কিছু একটা চেষ্টা তো হবেই।’ তবে ৫ আগস্টের পর থেকে ভারতের সাথে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের, তাতে ভারত বাংলাদেশে খেলতে আসতে চাইবে কিনা তা বড় প্রশ্ন বটে। রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে খবরে তুলে ধরছে ভারতের অনেক মিডিয়া। তাতে ভারতীয়দের একটি অংশ কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের ওপর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এই একটাই সমস্যা, ভারত এই মুহূর্তে বাংলাদেশে খেলতে আসতে রাজি হবে কি না। আমরা জানি এটা কঠিন। তারপরও চেষ্টা করে দেখতে তো অসুবিধা নেই। পাকিস্তান যেহেতু স্বাগতিক দেশ, তাদের মতামতও এখানে গুরুত্বপূর্ণ।’ আগামীকাল বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। পিসিবি এককভাবে এই টুর্নামেন্টের আয়োজক হলেও ভারত পাকিস্তানে তাদের দল পাঠাতে আপত্তি জানিয়েছে। একপর্যায়ে পিসিবি এমন প্রস্তাবও দেয়— ভারতীয় দল সীমান্তবর্তী স্টেডিয়ামে খেলবে এবং অবস্থান করবে নিজেদের দেশেই, তবে তাতেও মন গলেনি ভারতের। পিসিবি শুরুতে হাইব্রিড মডেল মেনে না নিলেও কিছু শর্ত আরোপ করে এবার মেনে নিচ্ছে। সেই শর্তের মধ্যে রয়েছে— তারা কখনও ভারতে কোনো টুর্নামেন্টে খেলতে যাবে বা ও সে ক্ষেত্রেও হাইব্রিড মডেল প্রয়োগ করতে হবে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির লভ্যাংশ আরও বেশি দিতে হবে— এসব। যদিও আইসিসি বা প্রভাবশালী বিসিসিআই তা আদৌ কতটা আমলে নেয়, তা—ও ভাবনার বিষয়।