এফএনএস: সাপ্তাহিক ও বড়দিনের ছুটিসহ টানা তিন দিনের ছুটিতে সুন্দরবনের করমজলে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। পর্যটকরা ট্রলার ও লঞ্চযোগে ম্যানগ্রোভ এই বনের নানা জায়গায় ঘুরে উপভোগ করছেন সৌন্দর্য। গত শনিবার থেকে পর্যটকদের ভিড় সামলাতে বনরক্ষীদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঢাকা থেকে করমজলে আসা স্কুল শিক্ষিকা শাহিনুর আক্তার বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টায় আসা যায় বলে স্বপরিবারে আমরা সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য ছুটে এসেছি। আমাদের মতো অনেকেই এসেছেন এখানে।’ করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘সাপ্তাহিক ও বড়দিনের টানা ছুটিতে করমজলে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। ছুটির প্রথমদিনে শুক্রবার প্রায় দুই হাজার পর্যটক এসেছেন এখানে। এর সঙ্গে অনেক ভিআইপিও আসছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ছুটির এই তিন দিনে উলেখযোগ্য রাজস্বও আয় হবে। করমজল ছাড়া সুন্দরবন বিভাগের অন্যান্য পর্যটন স্পটেও পর্যটকদের ভিড় হচ্ছে।’ ট্যুর অপারেটর সোহাগ মোলা, জাহিদ মোলা ও আলী আকবর বলেন, ‘টানা তিন দিনের ছুটির প্রথমদিন শুক্রবার সকাল থেকে কমপক্ষে ১০০টি ট্রলার ও লঞ্চ সুন্দরবনের ভেতরে প্রবেশ করেছে। এসব নৌযানে প্রায় দুই হাজার পর্যটক ভ্রমণ করেছেন।’ মূলত সাপ্তাহিক ও বড়দিনের ছুটি উপলক্ষে বেশি সংখ্যক দর্শনার্থীর আগমন ঘটেছে বলে জানান তারা। সুন্দরবন অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দে বলেন, ‘সুন্দরবনে করমজল ছাড়াও হিরন পয়েন্ট, হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, কলাগাছি ও দোবেকি পর্যটনস্পটে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। বেশি পর্যটক হচ্ছে করমজলে। ছুটির এই তিন দিনে এবার রাজস্ব আয় বাড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শীত মৌসুমেই পর্যটকদের ভিড় নামে বেশি। এ সময়টা সব পর্যায়ের মানুষের ছুটি বেশি থাকে। তবে আগত পর্যটকদের আরও সুযোগ-সুবিধা দিতে বন বিভাগ নানারকম উন্নয়মূলক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যা বাস্তবায়ন চলছে।’