এফএনএস: দেশের ছয় বিভাগে বেশি ও দুই বিভাগে কম বৃষ্টি হতে পারে বলে গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃষ্টির এ প্রবণতা আগামী তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর নিষ্ক্রিয়তায় এবার ভরবর্ষা মৌসুমেও কাক্সিক্ষত বৃষ্টির দেখা মেলেনি। গত কিছুদিন ধরেই প্রায় বৃষ্টিহীন পরিস্থিতির কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছিল মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। গত দু-দিন ধরে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি বেড়েছে। ভ্যাপসা গরমের অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেয়েছে মানুষ। তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির প্রবণতা কম। বৃষ্টির দেখা না মিললেও গত সোমবার প্রায় সারাদিনই ঢাকার আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল। গতকাল মঙ্গলবারও আকাশ মেঘে ঢেকে আছে। বেলা ১১টার পর থেকে রাজধানীর কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে। দুপুর ১টার পর বৃষ্টি বেড়েছে ঢাকায়। গত সোমবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ময়মনসিংহে। আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানান, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেটÑ এ ছয় বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছুকিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। গত সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল মোংলায়। গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে ঈশ্বরদীতে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিলা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রংপুর, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।