এফএনএস: জ¦ালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে কৃষিখাতে প্রভাব পড়বে। কৃষকের লাভটা হয়তো কম হবে। কিন্তু উৎপাদন কম হবে না। আগে ১১০০ বা ১ হাজার টাকায় এক মণ ধান বিক্রি করে ১০০-১৫০ টাকা লাভ হতো, এখন হয়ত লাভটা কম হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় কুমিলা শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘বিদ্যমান শস্য বিনাসে তৈল ফসলের অন্তর্ভুক্তি এবং ধান ফসলের অধিক ফলনশীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক কর্মশালায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশের চাষিরা ত্যাগী। বউয়ের গয়না বিক্রি করে, গরু বিক্রি করে, ছাগল বিক্রি করে সার কিনে জমিতে দেয়। সারাদেশেরই মানুষের কষ্ট হচ্ছে। বড় বড় শিল্পপতিদের জন্যও ঝুঁকি আছে। তেলের ব্যবহার সর্বত্র। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হলেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যাবে। আমরা আবার তেলের দাম কমিয়ে নেব। দেশকে তো আমরা পুরো ঝুঁকির মধ্যে নিতে পারি না। এখন এই যে তেলের বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, দিলে সরকারি গুদাম, সরকারি রিজার্ভ একদম কমে যাবে, তখন সারা জাঁতি একটা হুমকির মুখে পড়ে যাবে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ কম খরচ করেন, আমরা একটু সাশ্রয় করি, একটু কম খাই। তেলের মূল্য বৃদ্ধি হলে এর একটি বিরূপ প্রভাব যে পড়বে, সরকারও সেটা জানে। তারপরও সাময়িক এই কষ্টটা নিয়ে আমরা যেন টিকে থাকতে পারি। ইনশাআলাহ যুদ্ধ তো আর চিরদিন থাকবে না, যদি আমরা টিকতে পারি, আবার ঘুরে দাঁড়াব। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কুমিলা সিটি করপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিলার উপপরিচালক মিজানুর রহমান, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কুমিলার সিইও ড. মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান এবং পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।