এফএনএস বিদেশ: জনসংখ্যার দিক থেকে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে চীনকে ছাড়িয়ে শীর্ষ অবস্থানে চলে আসবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। জাতিসংঘ থেকে প্রকাশিত তথ্যে সেই ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। জাতিসংঘের ধারণা, ২০২৩ সালের মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা পৌঁছাবে ১৪২ কোটি ৮৬ লাখে। এ সময়ে চীনের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৪২ কোটি ৫৭ লাখে। এর মানে দাঁড়ায় প্রতিবেশি দেশটি থেকে ভারতের জনসংখ্যা বেশি থাকবে প্রায় ২৯ লাখ। এশিয়ার এই দুই বৃহৎ দেশের জনসংখ্যা অনেক আগে থেকেই ১৪০ কোটি ছাড়িয়েছে। সর্বশেষ ৭০ বছর ধরে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশে এই দুই দেশেরই। প্রতি দশ বছর পর পর জনশুমারি করে থাকে ভারত। সর্বশেষ ২০১১ সালে দেশটিতে জনশুমারি হয়। নিয়ম অনুযায়ী ২০২১ সালেও জনশুমারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কোভিড মহামারির কারণে সে বছর তা করা হয়নি। এদিকে, জনসংখ্যা নিয়ে জাতিসংঘ যে তথ্য প্রকাশ করেছে সেখানে হংকং, তাইওয়ান ও ম্যাকাওয়ের বাসিন্দাদের চীনের মোট জনসংখ্যার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এই তিনটি ভ‚খÐকে নিজেদের বলে দাবি করে চীন। তবে, তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন বলে দাবি করে। গত বছরের নভেম্বরে বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ১৯৫০ সালের পর থেকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার তুলনা করলে বর্তমানে তা খুব কম। বিবিসি বলছে, চীন ও ভারত উভয় দেশের প্রজনন হার কমেছে। গত বছর চীনের জনসংখ্যাও কমেছে। ২০১৬ সালে চীন এক সন্তান নীতি থেকে বেরিয়ে আসে। চীনের যে কোনো দম্পতি বর্তমানে দুই বা এর অধিক সন্তান নিতে পারছে। তবে, এরপরেও দেশটির জনসংখ্যা কমেছে। এদিকে, সর্বশেষ কয়েক দশক ধরেই ভারতে প্রজনন হার কমছে। ১৯৫০ এর দশকে প্রজনন হার ছিল পাঁচ দশমিক সাত। তবে, বর্তমানে প্রজনন হার দুই দশমিক দুই।