বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সুন্দরবনে বিএসএফের রেখে যাওয়া ৭৫ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর দেবহাটা বিএনপির সদস্য নবায়ন উদ্বোধনী আয়োজনে জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত কলারোয়ায যুবদল নেতার ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ মুন্সীগঞ্জে তাপদাহে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ শ্রীউলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ভাড়াশিমলায় ২৫০ প্রান্তিক কৃষানের মধ্যে সবজির বীজ বিতরণ খুলনার সাবেক মহিলা কাউন্সিলর গ্রেফতার বসন্তপুর ফকিরপাড়া জামে মসজিদে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল

জলবায়ুু পরিবর্তনের ফলে বিলুপ্ত হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৩

এম এম নুর আলম ॥ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাতক্ষীরা জেলা ও সুন্দরবন এলাকা থেকে অনেক প্রজাতির বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হতে চলছে। অনেকগুলো ইতিমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যথেচ্ছা কীটনাশকের ব্যবহার, অবাধে বনভূমি কেটে প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট এবং ইচ্ছামতো পশুপাখি শিকার করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গাছপালার মতোই বন্য পশুপাখি স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষার জন্য অপরিহার্য। বন্যপ্রাণি বিভিন্নভাবে সাহায্য করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য। অথচ আমাদের দেশে পশুপাখি সংরক্ষণের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। ইচ্ছামতো চলছে পশুপাখি শিকার। এতে করে সাতক্ষীরা জেলাসহ সুন্দরবনের অনেক বন্যপ্রাণি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অপরদিকে, ফ্রি স্টাইলে জমিতে কীটনাশক ব্যবহারের ফলেও পাখি সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পাখি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি ফসলের পোকামাকড় খেয়ে ফসলকে বাঁচায়। লোকসংখ্যা বৃদ্ধি ও সুন্দরবনের সম্পদ আহরণের পরিকল্পনা না থাকায় এসব জায়গায় পশুপাখি বিচরণ ক্ষেত্র তৈরি করতে পারছে না। ফলে এ অঞ্চলে পশুপাখিসমূহ বসবাসের স্বাভাবিক পরিবেশ হারাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক বন্যপাখি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বর্তমানে এ অঞ্চলে খেঁকশিয়াল, শিয়াল, বনবিড়াল, বাঘরোল, বাঘধারা, ভোঁদড়, মোরেল, ধেঁড়ে, বেজি, হনুমান প্রভৃতি বন্যপ্রাণী এবং হরেল, ঘুঘু, চদর ঘুঘু, সাহেব বুলবুল, শরম, ভীমরাজ, বিলবাচ্চু, বাবুই, মদনটাক প্রভৃতি পাখি দেখা যায় না। কিছুদিন আগেও এ অঞ্চলে নির্জন রাতে সজারু চলাচলের ঝুনঝুন আওয়াজ শোনা যেত। কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশে বিলুপ্ত হয়ে গেছে সজারু। বিলুপ্ত হয়ে গেছে বিভিন্ন প্রকার সাপ। প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতার কারণে সুন্দরবনের ওপর পড়ছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। প্রতিকূল পরিবেশের কারণে গাছপালা মরে যাচ্ছে, বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে জীবজন্তু। ইতিমধ্যে সুন্দরবন এলাকা থেকে অনেক প্রজাতির জীবজন্তু বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আবার অনেকগুলো বিলুপ্তির পথে। গন্ডার, বুনো মহিষ, নীলগাই, নেকড়ে, চিত্রা হরিণ, বারসিঙ্গা হরিণ, মিষ্টি পানির কুমির প্রভৃতি জীবজন্তু দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনে পাওয়া যায় না। এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির বানর, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, মায়া হরিণ, কুকুরে হরিণ, সাদা কালো হরিণ আগের মতো আর দেখা যায় না। সুন্দরবন থেকে কমে গেছে মদনটাক, বাঁশকুড়াল, বাঁশিচোরার, শঙ্কখোল প্রভৃতি পাখি। কয়েক বছর আগেও এ অঞ্চলের প্রকৃতি ছিল জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। কিন্তু ইচ্ছামতো বন্যপ্রাণী শিকার, যথেচ্ছা কীটনাশকের ব্যবহার এবং বিশেষ করে বনভূমি সাবাড় হওয়া, জলবায়ুর পরিবর্তন, বনভূমির ব্যবহার যথেচ্ছভাবে করার ফলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পশুপাখি হচ্ছে নিরাশ্রয়। কাজেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের এসব বণ্যপ্রাণি রক্ষা ও সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com