স্টাফ রিপোর্টার \ সাতক্ষীরায় হাওড়ের ১০০ বছর ও আমাদের করণীয় বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আক্তারুজ্জামান (অতিরিক্ত সচিব)। তিনি বলেন, নদনদীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। জলাভূমির অস্তিত্ব বিপন্ন হতে দেওয়া যাবে না। ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন হতে বিরত থাকতে হবে। ভরাট হওয়া নদীর তলদেশ ড্রেসিং করার মাধ্যমে এবং দখল ও দূষণ রোধে প্রাণ ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই। তিনি আরো বলেন, হাওড়ের জলধারায় মৎস্য চাষের পাশাপাশি জলজ উদ্ভিদের বিস্তার ও সংরক্ষণ করতে হবে। নদনদীর ভাঙ্গন রোধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি নদীকে অভিশাপে নয় সম্পদে পরিণত করতে হবে। সাতক্ষীরায় বিগত দিনে চাকরি করার সুবাদে এই জেলার মানুষের প্রতি দূর্বলতা প্রকাশ করে বলেন, সাতক্ষীরার মানুষের জন্য যাতায়াত যোগাযোগ ব্যবস্থা, নদী ভাঙ্গন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ করতে হবে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র সংরক্ষণ, আধুনিকরনের জন্য মেগা প্রকল্প গ্রহণের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল হাশেম, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু, মেডিকেল কলেজের প্রফেসর ডাঃ কাজী আরিফ আহমেদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে ডিডি মোঃ সাইফুল ইসলাম, সমাজসেবা অধিদপ্তরে ডিডি সন্তোষ কুমার নাথ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিডি মোঃ মিজানুর রহমান, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত কুমার সরকার, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মোঃ নূরুল হুদা, জেলা তথ্য অফিসার মোঃ জাহারুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ সাইদুর রহমান, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোস্তফা জামান, এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান, শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী জায়েদ বিন গফুর, পুলিশ পরিদর্শক শামীম আহমেদ, পুলিশ পরিদর্শক আনন্দ চন্দ্র রায়, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা, জেলা কালচারাল অফিসার ফাইজা হোসেন অন্বেষা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মোঃ ইমরান হোসেন, মহিনী তাবাসুম প্রমুখ। জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ সমাপনী বক্তব্যে বলেন, হাওড়, বাওড় ও জলাভূমি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। সৌন্দর্য রক্ষার্থে এগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সুন্দরবন কেন্দি্রক মেগা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত সম্ভব কার্যক্রম এগিয়ে যাবে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক বিষ্ণুপদ পাল।