দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব পাশ কেরছে। আন্তর্জাতিক সর্ববৃহৎ এই সংস্থাটি বিশ্ব শান্তি ও বিশ্ব সমস্যা সমাধানে এবং সম্ভাবনার ক্ষেত্র উন্মোচনে নিয়োজিত সঙ্গত কারনে আইনগত ও নৈতিকতার কারনে জাতিসংঘ মানে বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো বিধায় এই সংস্থায় ঐক্যবদ্ধ তথা ঐক্যমতের ভিত্তিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত মানতেবাধ্য বিশ্বের দেশগুলো যে কারনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব পাশ অর্থঅৎ ইসরাইল গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা পরিচালনা করে কোন অবস্থাতেই ফিলিস্তিনিদের হত্যা করবে না এবং ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগঠন হামাস ও কোনধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করবে না এবং হামাসের হাতে বন্দী ইসরাইলি পন বন্দীদেরকেহামাস মুক্তি দেবে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাশহওয়ার সাথে সাথে বিশ্ববাসি তথা বিশ্বের শতশত কোটি মানবতা স্বস্তি এবং সুখ অনুভব করেকিন্তু দখলদার ইসরাইলি সরকার ইহুদীবাদী দখলদার ইসরাইল যুদ্ধ বিরতির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে দৃশ্যতঃ জাতিসংঘের ও মানবতার বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছে। দখলদার ইসরাইল বাহিনী গণহত্যা চলমান রেখেছে। বিমান হামলা এবং স্থল অভিযান পরিচালনা করছে দখলদার বাহিনী। নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে নিরাপত্তা পরিষধকে উপেক্ষা করে দখলদার বাহিনী নির্বিচারে হত্যা পরিচালনা করছে সমগ্র গাজা উপত্যকায়। গাজায় বর্তমান সময়ে চরম মানবিক বিপর্যয় বিরাজ করছে এই উপত্যকায় বর্তমান সময় গুলোতে বেচে থাকবার অন্যতম গ্যারান্টি নেই। ক্ষুধা আর স্বাস্থহীনতা এমন বিপর্যস্থ পরিস্থিতি ইতিপূর্ব গাজাবাসি দেখেনি, রোজার দিনগুলোতে রোজ থেকে গাজাবাসি সিহরী খেতে পারছে না। ইফতারি করতে পারছে না অথবা ইফতারির সংস্থান নেই। পুরোগাজা উপত্যকায় হাহাকার এক স্থান হতে অন্যস্থানে চলছে ফিলিস্তিনিরা কেবলমাত্র বেঁচে থাকবার আশায় কিন্তু দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিমান ও গোলা বর্ষনের কারনে নিহত হচ্ছে আহত হচ্ছে। দুর্ভিক্ষ কবলিত গাজায় ত্রান সরবরাহে দখলদার বাহিনী বাঁধা দিলেও জাতিসংঘের অনমনীয় মনোভাবের কারনে গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত ত্রান তৎপরতা স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে রোজাদার ফিলিস্তিনিরা ইফতারি আনতে যেয়ে বারবার বিমান হামলার কবলে পড়েছে এবং নিহত ও আহত হয়েছে সেই দুর্বিসহ পরিস্থিুিুতর সামনে আর যেতে চাইছে না ফিলিস্তিনিরা। জাতিসংঘ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারও ইসরাইলকে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেছে ইসরাইল যদি এখনও পর্যন্ত সংযত না হয় ও হামলা বন্ধ না করে তাহলে আগামীতে করুন পরিনতি ভোগ করতে হবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর থেকে মার্কিন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক কোন অবস্থাতেই ভাল যাচ্ছে না। এদিকে হুতি যোদ্ধারা তাদের প্রতিশ্র“তিনুযায়ী লোহিত ও ভুমধ্যসাগরে ইসরাইল ও ইসরাইলি সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা পরিচালনা করা অব্যাহত রেখেছে। হুতিদের বক্তব্য ইসরাইল যতদিন পর্যন্ত গাজায় হামলা পরিচালনা করে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করবে ততোদিন পর্যন্ত সাগরে ও ইসরাইল ভূ-খন্ডে হামলা চলাবে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে হুতি যোদ্ধারা লোহিত সাগরে ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের জাহাজে ক্ষেপনাস্ত্র হামরা পরিচালনা করেছে। হুতিযোদ্ধাদের বরাতদিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে লোহিত সাগরের অবস্থানরত জাহাজে হামলা পরিচালনা করলেও হুতিদের কিছুই করতে পারছে না জোটভূক্ত দেশগুলো। হুতি যোদ্ধারা ইসরাইলের ইয়ার্ক শহরে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলেও জানিয়েছে আল জাজিরা। গতকালও ইসরাইলি বাহিনী রাফা শহরে ব্যাপক তন্ডব চালিয়েছে রাফার সড়কে সড়কে ফিলিস্তিনিদের লাশ আর রক্ত, পুরো রাফা শহর এক আশ্রয় শিবিরে পরিনত হয়েছে। রাফা শহরের মসুিজদএবং হাসপাতালের অস্তিত্ব বিপন্নের পথে,ি বশ্ব নেতৃবৃন্দ ইসরাইলকে রাফা শহরে অভিযান পরিচালনা করার তাগিদ দিলেও দখলদার ইসরাইল তার বর্বরতায় মেতে আছে। এদিকে হামাসেরসশস্ত্র শাখা আল কাসেম ব্রিগেড এর মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেছে ইসরাইলি বাহিনী জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত মানছে না, আবারও জানিয়ে দিতে চাইছি ইসরাইলের প্রতিটি হামলা এবং প্রতিজন ফিলিস্তিনি হত্যার বদলা নেওয়া হবে।