জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘অগ্নিবীণার শতবর্ষ: বঙ্গবন্ধুর চেতনায় শাণিতরূপ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম হায়াতুল্লাহ। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিল্প মানেই যন্ত্রনা আর বেদনা মিশ্রিত বিষয় জড়িত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কবি নজরুল কখনো তাঁর জীবনে এই যন্ত্রনা আর বেদনার কাছে পরাজয় মেনে নেননি। বাঙ্গালি জাতির মুক্তির বিষয়টি তাঁর লেখার মাধ্যমে বার বার উঠে এসেছে। কবি সকল মানুষকে সাম্যের চোখে দেখতেন। তিনি একই সাথে ছিলেন বিদ্রোহের কবি ও প্রেমের কবি। প্রধান অতিথি আরও বলেন, তৎকালিন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে নজরুলের অবদান ছিলো অন্যতম। উপমহাদেশের মুক্তির জন্য বিদ্রোহের বাণী সবসময় তাঁর লেখার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরে কবিকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা যেন কবি নজরুল সম্পর্কে জানতে পরে সে জন্য তাদেরকে বেশি করে নজরুলের বই পড়ার আহবান জানান প্রধান অতিথি। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোছাঃ তাছলিমা খাতুন, আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কার্ত্তিক চন্দ্র মন্ডল ও খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের সচিব মোঃ রায়হান কাওছার। কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় খুলনা জেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।-তথ্য বিবরণী