মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শান্তি আলোচনার পর ইউক্রেনে বৃহত্তম ড্রোন হামলা চালালো রাশিয়া সিরিয়ায় পুনরায় কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মন্তব্য, ভারতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গ্রেফতার সৌদি আরবে অবৈধদের ধরতে অভিযান, গ্রেফতার ১৫ হাজার হায়দরাবাদের চারমিনারের কাছে ভবনে আগুন, শিশুসহ নিহত ১৭ যে কারণে ব্যর্থ হলো ভারতের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ভারতের জন্য আকাশসীমা আরও এক মাস বন্ধ রাখবে পাকিস্তান: রিপোর্ট ইরানে শিয়া মাজারে হামলার ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ—মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ টর্নেডোয় ২৭ জনের প্রাণহানি যে কারণে পেনাল্টি নেননি হালান্ড

জানুয়ারিতে এলো ২১৮ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

এফএনএস: চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১৮ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যা ৭ কোটি ২০ লাখ বা ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে বেশি এসেছে ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। আবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগের মতো না কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের আশপাশে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই—জানুয়ারি সময়ে প্রবাসীরা এক হাজার ৫৯৬ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল এক হাজার ২৯১ কোটি ডলার। এই হিসেবে প্রথম ৭ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩০৫ কোটি ডলার বা ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। এর আগের মাস গত ডিসেম্বরে কোনো একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। ডিসেম্বরে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ ছিল ২৬৪ কোটি ডলার। এর আগে কোনো একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল করোনার মধ্যে ২০২০ সালের জুলাইতে। ওই মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২৬০ কোটি ডলার। মূলত বিশ^ব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে ওই সময়ে হুন্ডি চাহিদা তলানিতে নামায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়ছিল। সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকার পতনের পর থেকে রেমিট্যান্সসহ বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধির প্রধান কারণ হুন্ডি চাহিদা কমেছে। বাণিজ্যের আড়ালে কিম্বা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ যারা দেশের বাইরে পাঠাতো তাদের বেশিরভাগই এখন দৌড়ের ওপরে আছে। ভোগ্যপণ্যসহ বিভিন্ন আমদানিতে কম মূল্য দেখিয়ে এলসি খোলার প্রবণতা কমেছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে অর্থ পাচারে কড়াকড়ি করছে সরকার। আবার ঋণ জালিয়াতি, রাজস্ব ফাঁকি, অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অনিয়মে অভিযুক্ত ১০টি গ্রুপের অনিয়ম তদন্তে যৌথ টিম কাজ করছে। নতুন করে পাচারের সুযোগ তো দূরে থাক, উল্টো আগে পাচার করা অর্থ দেশে আনার চেষ্টা চলছে। এসব কারণে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত ৫ মাসে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com