এফএনএস: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, আমারা জানুয়ারি মাসে শতভাগ প্রাথমিকে বই দিতে পারব। আগে যেমন উৎসব করে দিতাম এবার উৎসব না হলেও বই দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের অনেক বই ছাপানো হয়েছে। জানুয়ারি মাসে প্রাথমিকের সব বই দিয়ে দেব। গতকাল রোববার বেলা আড়াইটার দিকে রংপুর পিটিআই এ এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘প্রাথমিকে খুব পরিবর্তন করার মতো কিছু করার ছিল না। ফলে আমরা তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বইয়ের সিলেবাসে কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। আমাদের পাঠ্যপুস্তকগুলোতে ছাত্র—জনতার যে অভ্যুত্থান ঘটে গেল তার প্রতিফলন থাকবে গল্পের আকারে, বিভিন্ন ছবির আকারে থাকবে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই থেকে যুক্ত থাকবে।’তিনি আরো বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে সমাজে বিভিন্ন মনোভাব প্রচলিত আছে। অনেকে মনে করেন, বাচ্চাদের সব কিছু শিখিয়ে ফেলতে পারে কিন্তু আমরা তা মনে করি না। প্রত্যেকে মনে করে প্রাথমিক শিক্ষার মানে হচ্ছে সাক্ষর করে গড়ে তোলা। সাক্ষর মানে তার নিজভাষায় বইয়ের লেখা পড়তে পারা। আমাদের মূল টার্গেট কিভাবে বাচ্চাদের আরো শিক্ষা দিতে পারি। যেন পঞ্চম শ্রেণির বাচ্চা তার মাতৃভাষা শিখতে পারে। এবং যোগ—বিয়োগ, গুন—ভাগ এসব করতে পারে।’ আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রাইমারি ভৌত অবকাঠামোর অনেকটা উন্নত হয়েছে উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষকদের ইন জেনারেলের মান অনেক বেড়েছে। যদিও প্রাইমারি স্কুলগুলো জাতীয়করণ করা হয় ২০১৩ সালে, সেইক্ষেত্রে শিক্ষকরা আগে নিয়োগ পেয়েছে। কিন্তু তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সরকারি স্কুলে। সেক্ষেত্রে মানের ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। আমাদের নিজস্ব ট্রেনিং চালু আছে, ফলে একজন শিক্ষকের সম্ভাবনা থাকে তাহলে নিজেকে ট্রেইন করে নিয়ে পারফরমেন্স ভালো করার সুযোগ রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ছাত্র ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম, স্কুলের ভৌত কাঠাম ভালো, কিন্তু শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি শতভাগ না। শিক্ষার্থীদের পারফরমেন্স সেই লেবেলের ভালো না। আমরা কাজ করছি।’