বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেবহাটায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন মুহাদ্দিস রবিউল বাসার শ্যামনগরে বিএনপি’র দু—গ্রুপের সংঘর্ষ,রণ ক্ষেএ, ১৪৪ ধারা জারী, ভাংচুর,সদস্য সচিব অবাঞ্চিত ঘোষনা,সেনা পুলিশ উপস্থিতি রংপুর বিভাগে আবারও শৈত্যপ্রবাহ, বেড়েছে শীতজনিত রোগ জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম রপ্তানি পণ্যে হিসেবে নতুন মাত্রা যোগ করেছে কৃষিপণ্য খুলনা সদর থানার ওসির অপসারণ দাবি বিএনপির হাসিনার আমলে লুট হয় ১৭ বিলিয়ন ডলার ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রপতিকে ড. ইউনূস অপরাধের দায় স্বীকার না করে আ. লীগ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: প্রেস সচিব মহার্ঘ ভাতার সঙ্গে ভ্যাট বাড়ানোর সম্পর্ক নেই: অর্থ উপদেষ্টা বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সৌজন্য সাক্ষাৎ

জানুয়ারির মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে: উপদেষ্টা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৫

এফএনএস: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, বছরের শুরুতেই আমরা শিশুদের হাতে প্রথম শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সব বই পেঁৗছে দিয়েছি। পরিমার্জন এবং বাইরের একটি টেন্ডার বাতিল করার কারণে কয়েকটি ক্লাসে বই দিতে বিলম্ব হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রাথমিকের ৪র্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই ছাপানো হচ্ছে, তা আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিংও করছি। জানুয়ারির মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে। গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) ময়মনসিংহের দশম গ্রেডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। ডা.বিধান রঞ্জন রায় বলেন, শিশুদের সামগ্রিক বিকাশে শুধু বইয়ের ওপর নির্ভর করলে অনেক সময় ফলাফল খারাপ হয়। তাদের সামগ্রিক বিকাশে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যোগ দেওয়া দরকার। এজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা দরকার। তিনি বলেন, শিশুদের পড়াশোনার মানবৃদ্ধির পাশাপাশি সেক্ষেত্রে খরচ কমাতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কাজ শুরুও হয়েছে, তখন আমরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তত্ত্বাবধান করতে পারব। তারাও সকল কিছু নিয়মের মধ্যে করতে বাধ্য থাকবে। এ সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে যাচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পরেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে, তার অনেক কারণ রয়েছে। এরমধ্যে কোভিড, পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন হওয়া, বছর শেষে যে পরীক্ষা হতো সেটি চলছিল না, এতে অভিভাবকরা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এতে অনেক বাচ্চা প্রাইমারি ছেড়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে গেছে। এ থেকে কীভাবে উত্তরণ করা যায় সেটা নিয়ে কাজ হচ্ছে। আমরা পরীক্ষা পদ্ধতি আবার পরিবর্তন করেছি, তবে ঠিক আগের মতো যাচ্ছি না। দুই ধরনের বিষয় রাখা হচ্ছে — প্রথমত ক্লাসে মূল্যায়ন তারপর চার মাস পরপর মূল্যায়ন হবে। এতে আশা করি অভিভাবকদের প্রত্যাশা পূরণ হবে। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে — বাচ্চারা যেন পড়াশোনায় ভালো করতে পারে, সেই লক্ষ্যে সকল কিছুতে পরিবর্তন আনা জরুরি। মতবিনিময় সভায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) ময়মনসিংহের পরিচালক ফরিদ আহমেদ, উপপরিচালক সাদিয়া উম্মুল বানিন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে দশম গ্রেডের কর্মকর্তাদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com