কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরা —১ আসনের সাবেক এমপি বর্তমান কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন, যুদ্ধে অসীম বীরত্বের পরিচয় দিয়ে জিয়াউর রহমান ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার। দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য নেতৃত্বহীন জাতির দিশারী হয়ে শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন। দায়িত্ব পালন করেন জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বীরউত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়। রোববার (১৯ জানুয়ারি) কলারোয়া উপজেলা বিএনপি আয়োজিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম এর ৮৯তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রকিব মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় দেশের পরিবর্তিত এ অবস্থায় তারুণ্যনির্ভর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অভিজ্ঞ ও তরুণদের মিশেলে যুগোপযোগী নেতৃত্ব গড়ার তাগিদ দেন সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব। আত্মনির্ভরশীল যুবসমাজ গড়তে শহীদ জিয়া কাজ করে গেছেন। তিনি কৃষিখাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মেধা, বুদ্ধিমত্তা, প্রজ্ঞা, সততা, দেশপ্রেম, নেতৃত্বের কৌশল ও আদর্শ এদেশের মানুষের জন্য এক বাতিঘর। লাইট হাউস বা বাতিঘর যেমন করে নিরুদ্দেশ নাবিককে সঠিক পথের নির্দেশনা দেয় তেমনি জিয়াউর রহমানের জীবনাদর্শ যুগে যুগে কালে কালে আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেন এ নেতা। আত্মত্যাগে বলীয়ান হয়ে নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও জাতি গঠনে যুবসমাজের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, সর্বক্ষেত্রে রাজনীতিতে আনতে হবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ হেসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের বাচ্চু, পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ তামিম আজাদ মেরিন, বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান ইব্রাহীম হোসেন, বিএনপি নেতা সহকারী অধ্যাপক তোফাজ্জেল হোসেন সেন্টু, আখলাকুর রহমান শেলী, আব্দুর রাজ্জাক, নজরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান মুকুল, আমিনুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক সাহাদাৎ হোসেন, মাফুজার রহমানখান চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, মাস্টার আজিজুর রহমান, জহুরুল ইসলাম, আশরাফুজ্জামান মন্টু, নাছির উদ্দীন, ডা. সিরাজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, মাস্টার আব্দুল মাজেদ, নুর ইসলাম, ডা. আব্দুল মজিদ, আনিছুর রহমান, ফজলুর রহমান মোল্লা, রওশন গাজী, সাবেক মেম্বার মুজিবর রহমান, রাশিদা আশরাফ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন, উপজেলা যুবদল আহবায়ক এমএ হাকিম সবুজ, সদস্য সচিব তাওফিকুর রহমান সঞ্জু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কেএম আশরাফুজ্জামান পলাশ, প্রভাষক সালাউদ্দিন পারভেজ, বিএম আফজাল হোসেন পলাশ, আব্দুল মজিদ, শওকত হোসেন, মীর রফিকুল ইসলাম, এমএ রব শাহিন, উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক মাস্টার মনিরুজ্জামান, মনিরুজ্জামান মনি, স্বেচ্ছাসেবকদলের মোশাররফ হোসেন, আরিফুর রহমান রঞ্জু, আরিফুল আলম রিপন, খালিদ খান, খালিদ মঞ্জুর রোমেল প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নেতৃত্বে একটি বিশাল র্যালি পৌরশহর প্রদক্ষিণ করে। সবশেষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়ানুষ্ঠান করা হয়।