প্রতাপনগর, আশাশুনি, প্রতিনিধি: আমাদের দেশ একটি নদী মাতৃক দেশ। এদেশের উপকুলীয় অঞ্চলের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস মৎস্য আহরণ। জীবন জীবিকার সন্ধানে বঙ্গোপসাগরে প্রতাপনগরের শতশত মৎস্যজীবীদের যাত্রা করেছেন। গতকাল সকালের নদীর জোয়ারে কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর ঘাটে ঘাটে মা বোন স্ত্রী সন্তান পোতা পুতনি নাতি বয়বৃদ্ধ বাবার অশ্রু ভেজা নয়নে বিদায় দিলেন পরিবারের প্রধান আয়ের অভিভাবক ও বাড়ির বড় কর্তা সন্তানসহ নানা জন কে। বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম তথা আমাদের সাতক্ষীরা আশাশুনির প্রতাপনগর এলাকার উল্লেখ যোগ্য সংখ্যাক মানুষ মৎস্যজীবী। সরকারি বিধি নিষেধ তথা নীতিমালা অনুসারে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণের মৌসুম শুরু দু’এক দিন মধ্যেই। ইতোমধ্যে মৎস্য আহরণে জীবিকা নির্ভরশীল মানুষের পরিবার পরিজন সংসার জীবন জীবিকার তাগিদে সুদূর বঙ্গোপসাগরে পাড়ি জমাতে সকল গোছগাছ ব্যাস্ত সময় পার করে নোঙ্গর জাল-কাছিসহ মাছ ধরার সকল সরমজাদী চাউল ডাউল শুকনা খাবার সহ সকল উপকরণ নৌকায় তোলার জন্যব্যস্ত নিয়ে দুবলার চর আলোর কোল তথা বঙ্গোপসাগরের মৎস্য আহরণে গতকাল প্রতাপনগরের চাকলা, রুইয়ারবিল সুভদ্রা কাটি, শ্রীপুর কুড়িকাহুনিয়া ও বন্যাতলার ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘাট ত্যাগ করলো প্রতাপনগর ইউনিয়নের শতশত ইঞ্জিন চালিত ট্রালার বোট ও নৌকা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সুশীল সমাজ ও সচেতন এলাকাবাসীর প্রত্যাশা যদি মৎস্য আহরণের সময় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন তাদের হেফাজত করেন। তাঁরা যেন সুস্থ সুন্দর ভাবে মৎস্য আহরণ করে ভালো ব্যবসা করে সফলতার সহিত বাড়ি ফিরে আসতে পারে। এবং আপন ভিটায় রেখে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের মুখে হাঁসি ফুটাতে পারে।