বাংলাদেশের ছয় ঋতুর অন্যতম শীত, আসি আসি করে শীত এসেগেছে। শীত কেবল আসেনি রিতিমত জেকে বসেছে। বিশ্বকাপের উন্মাদনা শেষ হয়েছে, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয় করে বিজয়ের আনন্দে মত্ত এদেশের আর্জেন্টিনা প্রেমীরা এই বিজয় আনন্দ শেষ হতে চলেছে। কিন্তু শীত তো শেষ না হয়ে প্রচন্ড ভাবে তার প্রবাহ বিস্তৃত করে চলেছে। ইতিপূর্বে উত্তরবঙ্গে শীতের উপস্থিতি ছিল বিশেষ ভাবে উলেখ্য কিন্তু সা¤প্রতিক বছর গুলোতে দক্ষিন বঙ্গে ও শীতের উপস্থিতি ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় গত কয়েকদিন যাবৎ শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। শীতের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য নতুনত্বের অবগাহন, গাছে গাছে নতুন পাতা গজায়, খেজুরের রস হয়, জনমনে এক ধরনের উৎফুলতা ও প্রশান্তি ভর করে কিন্তু সাতক্ষীরা সহ আশাপাশের এলাকাগুলোতে শীতের তীব্রতা এতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে যে জনমনে স্বস্তি, প্রশান্তি আর নতুনত্ব হারিয়ে গেছে। সর্বত্র শীত আর শীত। ঋতু বৈচিত্রের ছন্দপতন আর ধারাবাহিকতাহীনতার কল্যানে আমাদের দেশে শীতের সময় অনেক সময় শীতের দেখা মেলে না আবার অতি শীত জনজীবনকে বিপর্যস্থ ও বিঘœ করে, বর্তমান পরিস্থিতি তেমনই অতি শীতের কারনে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্থিরতা। গরীব, অসহায়, ছিন্নমূল দ্বীনহীন মানুষগুলো শীতের এই দিনগুলোতে নিজেদের কে অসহায় ভাবছে। সরকারি ভাবে গরীবদের জন্য কম্বল সহ শীত বস্ত্র প্রদান করা হচ্ছে বেসরকারী পর্যায়েও শীতবস্ত্র বিতরনের বিকল্প নেই। সমাজে বসবাসকারীদেরকে যে যার অবস্থান হতে অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে। হত দরিদ্রদের পাশে দাঁড়াতে হবে। শীতার্তদেরকে শীতবস্ত্র দিয়ে সহযোগিতার ক্ষেত্র স¤প্রসারন করতে হবে।