এফএনএস স্পোর্টস: শনিবার রাতে ইটালিয়ান লিগে মিলান ডার্বিতে ইন্টারকে ২-১ গোলে হারিয়েছে এসি মিলান। জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক ফরাসি ফরোয়ার্ড ওলিভার জিরুড। প্রথমার্ধে ইন্টার মিলান এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে জিরুডের জোড়া গোলে জয় নিশ্চিত হয় স্টেফানি পিওলির দলের। এই জয়ে ২০২০ সালের পর আবারও ইন্টারকে হারাল এসি মিলান। ইন্টারের বিপক্ষে শেষ ১২ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটিতে জিতল এসি মিলান। এই ম্যাচের আগে ২০২০ সালে জ¦ালাতান ইব্রাহিমোভিচের জোড়া গোলে জিতেছিল এসি মিলান। মিলান ডার্বি মানেই ইতালির দুই ঐতিহ্যবাহী দলের অস্তিত্ব রক্ষার ম্যাচ। যে ম্যাচে ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায়। শনিবার রাতে তেমনি এক ম্যাচ উপহার দিয়েছে দুই দল। শুরুতে ইন্টার গোল করে এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় এসি মিলান। পুরো ম্যাচে ৫৪ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখে এসি মিলান। ইন্টারের পোস্টে ১০টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে তিনটি শট, তার দুটিতেই পেয়েছে গোলের দেখা। বিপরীতে ইন্টার মিলান নেয় ১১টি শট, লক্ষ্যে ছিল ৫টি। ম্যাচের ১১ মিনিটে দারুণ এক সেইভ দেন এসি মিলান গোলরক্ষক। ব্রোজোভিচে নেওয়া শট মিলান ডিফেন্ডার কালুলুর গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন হলেও বিপদে পড়েনি মিলান, ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক মাইগনান। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন ইভান পেরিসিক। কালহানোগ্লুর কর্নারে বক্সের জটলার খানিকটা পেছনে বল পান পেরিসিক, সেখান থেকে নিচু ভলিতে বল জালে জড়িয়ে স্বাগতিকদের উলাসে মাতান এই ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ইন্টার। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ পালটা আক্রমণে চলতে থাকে ম্যাচ। তবে কোনো দলই গোলের দেখা পাচ্ছিল না। তবে ৭৫-৭৮, এই তিন মিনিটে ইন্টারের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন ওলিভার জিরুড, দুই গোল করে ইন্টারকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন এই ফরাসি। ৭৫ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে তোনালি দারুণ এক রান নেন, এজ অব দ্য বক্সে বল ছেড়ে দেন দিয়াজের উদ্দেশে। গোলের উদ্দেশে দিয়াজ শট নিলেও ইন্টারের দুই ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন হলে বল পেয়ে যান জিরুড, স্লাইডে পা বাড়িয়ে বল জালে জড়ান এই ফরাসি ফুটবলার। মিনিট তিনেক বাদেই এসি মিলানকে উচ্ছ¡াসে ভাসিয়ে নিজের জোড়া গোল পূরণ করেন ওলিভার জিরুড। কালাব্রিয়ার বাড়ানো বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ইন্টারের ড্রি ভ্রিজকে কাটিয়ে নিচু শট নেন জিরুড, গোলরক্ষক হ্যান্ডানোভিচ ঝাঁপালেও তাঁর হাতে লেগে বল জালে জড়ায়। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার আগে লাল কার্ড দেখেন মিলানের ডিফেন্ডার থিও হার্নান্দেজ। দশজনের দলে পরিণত হয় মিলান। এই জয়ে ২৪ ম্যাচে ১৬ জয় ও চারটি করে হার ও ড্র’তে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্টতালিকার দ্বিতীয় স্থানেই থাকল এসি মিলান। এদিকে ২৩ ম্যাচে ১৬ জয়, ৫ ড্র ও ২ হারে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ইন্টার মিলান।