কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি \ গত কয়েক দিনের বৈরী আবহাওয়ার কারনে প্রকৃতিতে গুমোট ভাব। থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টি, তবে বেড়েছে বাতাসের গতিবেগ। একই সঙ্গে নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে উপকূলীয় বেড়িবাঁধগুলো রয়েছে চরম ঝুঁকির মধ্যে। আতংকে উপকূলীয় অঞ্চল খুলনার কয়রা উপজেলার মানুষ। কপোতাক্ষ, শাকবাড়িয়া ও কয়রা নদী ঘিরে আছে উপকূলীয় এ উপজেলাটি। গতে কয়েক দিন ধরে শুরু হয়েছে থেমে থেমে বৃষ্টি । জোয়ারের পানি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে ২-৩ ফুট বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত শনিবার দুপুরের জোয়ারে উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদীর জোয়ারের চাপে চরামুখা গ্রামের রিংবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। তাৎক্ষণিক স্থানীয় জনগণ ভেঙে যাওয়া বাঁধ নির্মাণ করলেও গতকাল রবিবার দুপুরের জোয়ারে আবারও ভেঙে প্লাবিত হয়। এর আগে ১৭ জুলাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে এলাকা বাসি সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে রিংবাঁধ নির্মাণ করেন। রিংবাঁধের অধিকাংশ জায়গায় মাটি বসে যাওয়ায় যেকোন মুহূর্তে আবারও ভেঙে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কয়রা সদর ইউনিয়নের ২ নং কয়রা গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের স্লুইসগেটর পাশ দিয়ে চুইয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের কাটকাটা হরিহরপুর সড়কের দুই জায়গায় বেড়িবাঁধের লাজুক অবস্থা জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে । মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি লঞ্চ ঘাট ও সুতির বাজার স্লুইস গেট শাকবাড়িয়া নদীর জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে। দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চোরামুখা গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, নদীতে জোয়ারের পাননি বৃদ্ধি পেয়ে রিংবাঁধের দুই জায়গায় ভেঙে লোকাল পানি প্রবেশ করছে। গত দিন জোয়ারে ভেঙে গেলে এলাকার জনগন মিলে মেরামত করা হয়। দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আছের আলী বলেন, নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে। এতে দক্ষিন বেদকাশি, চোরামুখা, বিনাপানি, পদ্ধপুকুর, হুলুদবুনিয়া, উত্তর চেরামুখা, পাতাখালীর আংশিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে মৎস্যঘের, নষ্ট হয়ে গেছে আমান মৌসুমের বীজতলা। শত শত পরিবার পানি বন্দি অবস্থায় মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিনতীপাত করছে। মাহারাজপুর ইউপি সদস্য আবু সাইদ বলেন, মহারাজপুর ইউনিয়নের পূর্ব মঠবাড়ি পোবনার ক্লোজার এলাকায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। কয়রা সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সরদার লুৎফর রহমান বলেন, কাশিয়াবাদ স্লুইস গেটের পাশে বেড়িবাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। তাৎক্ষণিক এলাকাবাসি কাজ করে পানি প্রবেশ থেকে বিরত রাখে। বর্তমান ঐ স্থান খুবই ঝুর্কিপুন। এ ছাড়া ৪নং কয়রা ক্লোজার ছাপিয়ে পানি প্রবেশর উপক্রম হয়ে পড়ে। পাউবোর আমাদী সেকশান কর্মকর্তা মোঃ মশিউল আবেদীন বলেন, ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ মেরামতের জন্য চেষ্ট চলছে।