শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন

জ্বলছে গাজা: পরিনত হচ্ছে ধ্বংস স্তুপে: চলছে হামলা পাল্টা হামলা: মানবতা বিপর্যস্থ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩

দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ ফিলিস্তীনি অধ্যুষিত গাজা উপত্যকা জ্বলছে। মানবতা আর মানবিক বিপর্যয় চরম পর্যায়ে পৌছেছে। সপ্তাহ ব্যাপী ইসরাইল এবং ফিলিস্তীন মুক্তি সংস্থা হামাসের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা চলছে। গত শনিবার অন্যদিনের ন্যায় সেদিন ও ইসরাইলের জীবনযাত্রা শুরু হয়েছিল, স্বাভাবিক নিয়মেই চলছিল সবই। কিন্তু সকাল হতে না হতেই হামাস মুহুর মুহুর রকেট হামলা চালিয়ে ইসরাইলের রকেট হামলা রোধ ব্যবস্থা ভেঙ্গে চুরমার করে। চরম ভাবে বিপর্যস্থ হয় বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র ইসরাইলের। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরা খবরে বলা হয়েছে বিশ মিনিটের ব্যবধানে ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামাস পাঁচ হাজার রকেট নিক্ষেপ করে এবং প্রতিটি রকেট ইসরাইলের দুর্ভেদ্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ছিন্ন ভিন্ন করে দেশটির শহরে, বন্দরে, আবাসিক এলাকাতে আঘাত হানে। এখানেই শেষ নয় হামাসের শত সহস্র যোদ্ধা জীবন বাজি রেখে ইসরাইলের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ভূ-খন্ডে প্রবেশ করে হামলা চালায় সামরিক ঘাঁটি সহ পুলিশ স্টেশনে। ইসরাইলের সুসজ্জিত সামরিক বাহিনী, অত্যাধুনিক ট্যাংঙ্ক এবং প্রযুক্তি নির্ভর বিমান বাহিনীর বিমান গুলোর হামলায় বিপর্যস্থ, বিপন্ন থাকতো, এবং প্রতিনিয়ত হামলার শিকার হতো সেই ইসরাইলের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেই দৃশ্যতঃ পর্যদুস্থ করে হামাস। শক্তিশালী ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে হামাস সদস্যরা এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষন করে এবং সামরিক ঘাঁটি ও পুলিশ স্টেশন গুলোর নিয়ন্ত্রন গ্রহন করে। দেশটির সেনা বাহিনীর ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের যুদ্ধবন্দী হিসেবে গ্রেফতার করে হামাস সদস্যরা তাদেরকে গাজায় নিয়ে আসে এবং বর্তমানে হামাসের হাতে তারা বন্দী। হামাস জানিয়েছে ইসরাইলের গ্রেফতার করা নিরাপত্তা ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের কে মুক্তিপন হিসেবে ব্যবহার করা হবে। ইসরাইলের কারাগারে আটক অন্তত চার সহস্রাধীক সদস্যকে মুক্তি দিলেই কেবল হামাস তাদেরকে মুক্তি দেবে। ইতিমধ্যে খবরে প্রকাশ হামাসের হাতে বন্দী দেশটির সামরিক ও বেসামরিক নাগরিকদেরকে দেখানো হচ্ছে। বিশ্বের অত্যন্ত শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে ইসরাইলের মোসাদ পরিচিত। উক্ত গোয়েন্দা সংস্থাকে অন্ধকারে ও অজানায় রেখে হামাস সদস্যরা যে হামলা পরিচালনা করেছে তা কেবল বিস্ময়ের ব্যাপার নয় রিতিমত অবিশাস্ব্য বটে। এখানেই শেষ কথা নয় হামাস সদস্যরা কেবল স্থল পথে হামলা পরিচালনা করেনি, তারা বিশেষ আকাশযানের মাধ্যমে আকাশ পথে এবং অত্যাধুনিক নৌযানের মাধ্যমে নৌ পথেও হামলা পরিচালনা করেছে। এ পর্যন্ত সহস্রাধীক ইসরাইলের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক মিডিয়া। ১৯৪৮ সালে ইসরাইলের সাথে আরব দেশ গুলোর কার ও কার ও যুদ্ধ হয় উক্ত যুদ্ধে ও ইসরাইল এমন বিভিষিকা দেখেনি বা এত অধিক সংখ্যক প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেনি। গত পঁচাত্তর বছরের ইতিহাসে ইহুদী রাষ্ট্রটি এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মুখেও পড়েনি। শনিবারের হামাসের হামলার পর রবিবার থেকে গত সাত দিনে ইসরাইলের অত্যাধুনিক ও শক্তিশালী বিমানগুলো গাজা উপত্যকায় মুহুর মুহুর বোমা হামলা করে চলেছে। গাজা উপত্যকা ধ্বংস স্তুপে পরিনত হয়েছে সেই সাথে নিরীহ ফিলিস্তীনিদের মৃত্যুতে গাজার আকাশ বাতাস ভারি হচ্ছে, বিদ্যুৎ, খাদ্য চিকিৎসা সেবা নেওয়ার পরিস্থিতি সংকুচিত হয়ে পড়ছে। হামাস ও পাল্টা হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইরান সমর্থিত লেবাননের হিযবুল্লাহ ও ইসরাইলে হামলা চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ইসরাইলের কয়েকটি এলাকায় হামাস সদস্যরা অবস্থান করে ইসরাইলী বাহিনীর মোকাবিলা করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com