এফএনএস বিদেশ: আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত ১৭ বছরের মুসলিম কিশোর নাহেলকে ফ্রান্সের পুলিশ কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর থেকে সে দেশে শুরু তীব্র গণ-আন্দোলন। যে পুলিশ নাহালকে হত্যা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে করা হয়েছে হত্যা মামলা। সেই পুলিশ কর্তকর্তা নাহালের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু নাহালের মায়ের দাবি তার একমাত্র সন্তানকে পুলিশ ইচ্ছে করে হত্যা করেছে। তিনি এখন কাকে নিয়ে বাঁচবেন। তার স্বপ্ন ছিল নাহালকে ঘিরে। নাহাল খাবার সরবরাহের কাজ করতেন। তেমন পড়ালেখা করেনি। সে বর্তমানে একটি কলেজের শিক্ষার্থ। এদিকে ফ্রান্সে পুলিশের গুলিতে কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় পশ্চিম ইউরোপের এই দেশটি জুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। একইসঙ্গে চলছে দাঙ্গা ও সহিংসতা। এই পরিস্থিতিতে দেশে দাঙ্গা-সহিংসতা বন্ধ করে সবাইকে শান্ত হওয়ার আহŸান জানিয়েছেন পুলিশের গুলিতে নিহত আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত মুসলিম কিশোর নাহেল এমের দাদি। তিনি বলেছেন, নাহেলকে হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে যে বিক্ষোভ চলছে তার অবসান ঘটাতে হবে। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত মুসলিম কিশোর নাহেলকে হত্যার ঘটনায় ফ্রান্সজুড়ে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে এবং এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ-সহিংসতা বন্ধ করে সবাইকে শান্ত হওয়ার আহŸান জানিয়েছেন পুলিশের গুলিতে নিহত কিশোর নাহেল এমের দাদি। গত মঙ্গলবার ফ্রান্সের নানতেরেতে গাড়ির ভেতর নাহেল এম নামের ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরকে গুলি করেন এক পুলিশ সদস্য। এতে তার মৃত্যু হলে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মনকি রাজধানী প্যারিসসহ অন্যান্য শহরে বিক্ষোভকারীরা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দোকানে লুটেপাটের ঘটনাও ঘটে। সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে নানতেরেতে। এখানেই নাহেল এমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এমনকি বিক্ষোভের ৫ম দিনে রাজধানী প্যারিসের এক মেয়রের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া ভাঙচুর ও নাশকতামূলক কর্মকাÐে জড়িত থাকার অভিযোগে ফ্রান্সজুড়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন শত শত মানুষ। এই পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত হওয়ার আহŸান জানিয়েছেন ১৭ বছর বয়সী কিশোর নাহেল এম-এর দাদি। ফরাসি মিডিয়ায় নাদিয়া নামে চিহ্নিত ওই নারী গত রোববার বিএফএমটিভিকে বলেছেন, ‘যারা এই মুহূর্তে আইন ভাঙছেন, ভাঙচুর চালাচ্ছেন, আমি তাদের বলছি: এটা বন্ধ করুন।’