এফএনএস স্পোর্টস: সাকিব আল হাসানকে দলে পাওয়ার পর থেকেই জ¦লে উঠেছে মোহামেডান! টানা হারের বৃত্তে আটকে থাকার পর শেখ জামালের বিপক্ষে বাঁহাতি অলরাউন্ডের ফেরার ম্যাচে জয় পায় তারা। এরপর অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে সাকিবকে না পেলেও জয়ের ধারায় ছিল। শনিবার বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ককে দ্বিতীয়বার পেলো এবং সিটি ক্লাবকে হারিয়ে টানা তিন ম্যাচ জিতলো মোহামেডান। ইমরুল কায়েসের সেঞ্চুরি (১১৪) এবং মাহমুদউল্লাহ (৭১) ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের (৬৫) জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে তারা। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ৩৪৯ রানের লক্ষ্য পায় সিটি ক্লাব। কঠিন এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইটেক হারাতে থাকে দলটি। ১২৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর আসিফ আহমেদ রাতুল ও আব্দুল্লাহ আল মামুন মিলে ১৩২ রানের জুটি গড়েন। তিন অঙ্কের ঘরের দিকেই ছুটছিলেন মামুন। কিন্তু ৬৫ বলে জ্যাক লিনটটের বলে ৭০ রান করে আউট হন তিনি। অধিনায়ক রাতুল ৯৬ বলে ৫২ রান করে আউট হন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৭ রানে থামে সিটি ক্লাবের ইনিংস। মোহামেডানের বোলারদের মধ্যে লিনটট ৬৮ রানে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া সাকিব ৩৬ রানে নেন এক উইকেট। এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া মোহামেডান শুরুতেই রনি তালুকদার (১১) ও সৌম্য সরকারকে (১৩) হারায়। তিন নম্বরে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ ৬ রানের বেশি করতে পারেননি। যাওয়ার আসার মিছিলে ব্যতিক্রমী ছিলেন অধিনায়ক ইমরুল। মাহমুদউল্লাহর সাথে চতুর্থ উইকেটে ১২১ রান তোলেন। মাহমুদউল্লাহ ৫৯ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় খেলেন ৭১ রানের ইনিংস। এরপর অঙ্গনের সঙ্গে আরও ৪৬ রানের জুটি গড়ে আউট হন ইমরুল। ১২১ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৪ রানের ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। অঙ্কনের ব্যাট থেকে আসে ৫২ বলে ৬৫ রানের ইনিংস। মোহামেডানের জার্সিতে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে মোটামুটি ভালো করেছেন সাকিব। ব্যাট হাতে ১৬ বলে দ্রæত ২৬ রানের ইনিংস খেলার পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন দুটি উইকেট। এ ছাড়া আরিফুলের ৬ বলে ১৪ এবং লিনটটের ২ বলে ৮ রানের অপরাজিত ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়ে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে মোহামেডানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৪৮। সিটি ক্লাবের হয়ে রায়হান রাফসান সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। দুটি উইকেট নেন আসিফ হাসান। ৮ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে উঠে গেলো মোহামেডান। সমান খেলে এক পয়েন্ট কম নিয়ে নয়ে সিটি ক্লাব (৬)।