আশাশুনির বড়দল টু খাজরা সড়কের বেহাল দশা
এম এম নুর আলম \ আশাশুনি উপজেলার খাজরা টু বড়দল সড়কের কার্পেটিং উঠে সৃষ্ট খানাখন্দ পথচারীদের জন্য মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় পিচ, খোয়া, বালু উঠে মাটি বের হয়ে গেছে। যান চলাচলে চরম ভোগান্তির কবলে পড়ছেন যানবাহন চালকসহ সাধারন যাত্রীরা। এ জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তাটি রাউতাড়া রাজবংশী পাড়া হতে বড়দল ভোলামোল্লার খেয়া পর্যন্ত একাধিক জায়গায় ছোট বড় গর্ত হয়ে আছে। বর্তমানে খাজরা বাজার হতে বড়দল বাজারগামী ইজিবাইক, মোটর ভ্যান হেলেদুলে যাত্রী পরিবহন করছে। এছাড়া বড়দলের কয়েকটি ইট ভাটা হতে ইট ও গাছের লগ বহনকারী পরিবহন মারাত্বক ঝুকির মধ্যে ইট ও মালামাল নিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। পথিমধ্যে অনেক মালবাহী গাড়ী বিকল হতেও দেখা যায়। এমনকি মালবাহী পরিবহন গুলো গর্তের ভিতরে আটকে যানযটের কারণ হচ্ছে। অসুস্থ কোন রোগীকে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়ার সময়ও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। বর্তমানে এসএসসি পরীক্ষা চলমান আছে। বড়দল কেন্দ্রে খাজরা থেকে পরীক্ষার্থীরা নিরাপদে পৌছানো নিয়ে সংশয় রয়েছে। সড়কের খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া, ফটিকখালী, গজুয়াকাটি, খাজরা, রাউতাড়াসহ পার্শ্ববর্তী আনুলিয়া ইউনিয়নের ভোলানাথপুর, মনিপুর গ্রাম থেকে বড়দল কলেজিয়েট স্কুলে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে যাতয়াত করছে। সপ্তাহে একদিন বড়দল বাজারেও সংশ্লিষ্ট এলাকার শতাধিক হাটুরে এ রাস্তা ব্যবহার করে হাটবাজার করে থাকে। আবার রবিবার বড়দল বাজার করে অনেক ব্যবসায়ী মালামাল নিয়ে খাজরা বাজারে আসে। এছাড়াও এই অঞ্চলের মানুষের আশাশুনি উপজেলা, সাতক্ষীরা জেলা শহরের বিভিন্ন কাজের জন্য অনেক সময় এই রাস্তা ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে ধান শ্রমিকরা ধান কেটে নিরাপদে খাজরা বাজার পর্যন্ত পৌছাতে পারছে না। ফলে ধান শ্রমিকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় চালকরা জানান, রাস্তাটির একাধিক জায়গায় নষ্ট হওয়ায় আমরা খাজরা বাজার থেকে বড়দলে যাত্রী নিয়ে যেতে ভয় হয়। এছাড়াও ধুলাবালিতে আমাদের গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ দ্রæত নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তাটি খারাপ হওয়ায় ব্যাটারী চালিত ভ্যান এ বেশিক্ষন চার্জ থাকে না। আমরা চাই দ্রæত রাস্তাটি সংস্কার করা হোক। রাস্তাটি দ্রæত সংস্কার করে চলাচল উপযুক্ত করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংশিষ্ট দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ।