এস এম জাকির হোসেন শ্যামনগর থেকে\ টর্নেডোর আঘাতে নিখোঁজ জেলে শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের রুহুল আমিন এর মরদেহ ২ দিন পর ভারতের উলুখালি খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল ২৫ মার্চ শনিবার সকাল ৮ টার দিকে ভারতের পাড়ে নদীর চড়ে মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখে সেখানকার জেলেরা খবর দেয়। খবর পেয়ে কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, রায়নগর নৌ পুলিশ ও ভারতীয় বিএসএফ জওয়ানদের সহযোগিতায় চেয়ারম্যানের লোকজন অর্ধগলিত মৃতদেহটি সাড়ে ১০ টার দিকে উদ্ধার করে লোকালয়ে নিয়ে আসেন। ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রমের পর অবশেষে মৃতদেহটি উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান, বৃহস্পতিবার রুহুল আমিন নদীতে জাল ধরতে গেলে হটাৎ করে টর্নেডো আঘাত হানে, ফলে সে নিখোঁজ হয়ে যায়, তার পরপরই স্থানীয় লোকজন, কোস্ট গার্ড, রায়নগর নৌ-পুলিশ সহ ডুবুরি দিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তিকে অনেক খোঁজ খুঁজি করলেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরর্তীতে শুক্রবার নিখোঁজ বাংলাদেশি জেলের লাশ ভারতের শমসেরনগর বিএসএফ ক্যাম্পের সামনের কালিন্দী নদীর চরে দেখতে পেয়ে বিষয়টি বিএসএফ সদস্যরা আমাদেরকে জানায়। কিন্তু জোয়ার আসলে মৃতদেহ তলিয়ে যায়। এলাকা বাসী, নৌ-পুলিশ, কোস্ট গার্ড নিয়ে খোঁজা খুঁজি শুরু করি, কিন্তু মৃত দেহের সন্ধান পাইনি। অবশেষে রুহুল আমিনের লাশ উদ্ধার করতে পেরেছি। প্রশাসন এর অনুমতি নিয়ে লাশ দাফন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে কালিন্দী নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার পর হঠাৎ টর্নেডোর তান্ডবে নৌকাসহ রুহুল আমিন নদীতে তলিয়ে যায়। রুহুল আমিন উপজেলার পূর্ব কৈখালী গ্রামের মৃত রমজান আলী গাজীর পুত্র। শনিবার বেলা ১২ টায় রুহুল আমিনের মরদেহ জানাজা নামাজ শেষে তার পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। তার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক মোঃ সাইদ-উজ-জামান সাঈদ শোক সম্পত্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং উপজেলা পরিষদ হতে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা’র পক্ষ হতে সহায়তা হিসেবে ১০ হাজার টাকা ও একটি সেলাই মেশিন প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।